কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
প্রতি বছরই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে কোচবিহার থেকে বহু কর্মী-সমর্থক কলকাতা যান। কিন্তু এবার কোচবিহারের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্তু করে কোচবিহারে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গের মধ্যে একমাত্র কোচবিহার আসনেই তৃণমূল জয়ের মুখ দেখতে পেয়েছে। নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করে ইতিমধ্যেই লোকসভায় শপথ গ্রহণ করেছেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এই জয়ের পর থেকে কোচবিহারে প্রায় প্রতিদিনই বহু পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এতে তৃণমূল শিবির কার্যত উৎসাহে ফুটছে। কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনও এখন যথেষ্ট চাঙ্গা। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার আসন জয়ের গর্ব বুকে নিয়ে ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পাবে মনে করা হচ্ছে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য ব্লকভিত্তিক প্রচার শুরু হবে। আগামী কাল, শনিবার তুফানগঞ্জ থেকে এর প্রস্তুতি সভা শুরু করা হবে। সেই দিন তুফানগঞ্জে একটি মিছিলও হবে। প্রায় ২০ হাজার কর্মী-সমর্থক ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের লক্ষ্যে কোচবিহার থেকে কলকাতা যাবেন। আগামী ৩০ জুন জেলায় এনিয়ে একটি বৈঠক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ২১ জুলাই কলকাতা যাওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত রয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে অঞ্চল, ব্লকস্তরে প্রস্তুতি সভা করার জন্য নির্দেশ এসেছে।
কোচবিহারে লোকসভা আসন জয় এবার একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। জয়ের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে এসে রাত্রিবাস করেছেন। মদনমোহন মন্দিরে তিনি পুজো দিয়েছেন। দলের নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূল শিবির কার্যত উৎসাহী হয়ে রয়েছে। এরই মাঝে ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার বার্তা এসে পৌঁছেছে। দল সেই কর্মসূচিকে সফল করতে এবার মাঠে নামছে।