কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর জন্য বিকল্প ইনটেক ওয়েল তৈরির দাবি বহুদিনের। পুরসভার ক্ষমতা পেয়েই তৃণমূল কংগ্রেস এই ব্যাপারে তৎপর হয়। বেশ কয়েক মাস আগে ফুলবাড়িতে বিকল্প ইনটেক ওয়েল তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়। সেটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে মেয়র ছাড়াও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত সহ আধিকারিকরা ছিলেন।
পরে মেয়র বলেন, বিকল্প ইনটেক ওয়েল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সেটি চালু করা হবে। তাহলে ফুলবাড়ি জল প্রকল্পে পন্ড ও ইনটেক ওয়েলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে দু’টি। তিস্তার ঘোলা জলে কিংবা পলিতে মূল ইনটেক ওয়েলে সমস্যা হলে বিকল্প ইনটেক ওয়েলের মাধ্যমে জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করা যাবে। তাছাড়া সেচদপ্তর কোনও কারণে তিস্তা ব্যারেজের লকগেট বন্ধ করে ক্যানেল ড্রাই করলেও পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যহত হবে না।
এদিকে, শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে মেগা জল প্রকল্প রূপায়ণের কাজে হাত দিয়েছে পুরসভা। প্রকল্পটি দু’টি ভাগে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ২০০ কোটি টাকায় গজলডোবায় তিস্তা নদীতে ইনটেক ওয়েল, জেটি, পাওয়ার হাউস, নদীর জল ফুলবাড়ি প্লান্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইপ লাইন পাতা প্রভৃতি রয়েছে। মেয়র বলেন, মেগা জল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ জোর গতিতে চলছে। ইতিমধ্যে রাউরকেল্লা থেকে পাইপ এনে গজলডোবা থেকে পাতার কাজ চলছে। পাশাপাশি মেগা জল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ নিয়ে কয়েক মাস আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছে চারটি সংস্থা। দ্বিতীয় পর্যায়ে পানীয় জল পরিস্রুত করার একটি প্লান্ট ও শহরে জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন পাতা হবে। এতে খরচ হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া আরএকটি ইনটেক ওয়েল ও পন্ড তৈরির জন্য প্রায় আট একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে নবান্নের বৈঠকে শিলিগুড়ি শহরের জল সমস্যার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার পর এদিন পুরসভায় জল নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।