কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বনদপ্তরের ওই কমিটি বনদপ্তর ও বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো, অফিস ও কোয়ার্টারগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বর্তমান হাল হকিকত খতিয়ে দেখে তার রিপোর্ট নবান্নে জমা দেবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে সাজাতে কি ধরনের সংস্কার হওয়া দরকার তারও প্রস্তাব দেবে এই কমিটি।
উত্তরবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, নবান্নের নির্দেশেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই কমিটি তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। বনদপ্তর ও বন উন্নয়ন নিগমের সমস্ত বাংলো, অফিস ও কোয়ার্টারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে নবান্নে তার রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
কমিটির সদস্যরা এদিন প্রথমেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মালঙ্গি বনবাংলো ঘুরে দেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার জেলা সফরে এলে মালঙ্গি বনবাংলোয় রাত কাটাতে পছন্দ করেন। এদিন ওই বনবাংলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও স্যুইচগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে কমিটির সদস্যরা। এরপর দলটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হাতিপোঁতা, শিলবাংলো ও রায়ডাক বনবাংলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। সবশেষে কমিটির লোকজন জয়ন্তী বনবাংলোয় আসেন।
উত্তরবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল বলেন, একইভাবে গোরুমারা অভয়ারণ্য, বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল, মহানন্দা অভয়ারণ্য, ন্যাওড়াভেলি সহ উত্তরবঙ্গে অন্যান্য বনাঞ্চলে থাকা বন ও বন উন্নয়ন নিগমের বাংলোগুলিতেও যাওয়া হবে। কমিটি কবে নাগাদ নবান্নে রিপোর্ট জমা দেবে, বনদপ্তরের কর্তারা অবশ্য নির্দিষ্ট করে কথা জানাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ইতিমধ্যেই বনদপ্তর, দমকল, ফরেন্সিক বিভাগ ও পুলিসের রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।