কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কোচবিহারের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকি বলেন, বিভিন্ন সময়ে তোর্সা গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এখন তোর্সার স্বাভাবিক প্রবাহ অনেক জায়গাতেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আগে তোর্সা শহরের পশ্চিম দিক টাপুরহাট ঘেঁষে প্রবাহিত হতো। কয়েক বছর ধরে তোর্সা পূর্ব দিকের খাত ধরে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ব খাতে প্রবাহিত হওয়ার কারণেই এক সময় হাজরাপাড়া, পাটাকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আবারও পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা মনে করি তোর্সাকে রক্ষা করার পাশাপাশি শহরকেও রক্ষা করা দরকার। সেই কারণেই আমরা আলোচনাচক্র করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব। মানুষকে সচেতন করাও আমাদের উদ্দেশ্য।
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক শশাঙ্ক গায়েন বলেন, আগে বর্ষার সময় তোর্সা ভয়াল রূপ ধারণ করত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর গতিপথের পরিবর্তন ঘটেছে। নদী তার বার্ধক্য অবস্থায় উপনীত হয়েছে। অসংখ্যবার নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এখন এই নদী সর্পিল আকার ধারণ করেছে। নদীর নাব্যতা কমায় জল ধারণক্ষমতা কমেছে। বর্ষায় অতিরিক্ত জল নদী খাতে প্রবাহিত হতে পারে না। নদীর দু’কূল প্লাবিত করছে। নদীর গতিপথে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বসতি স্থাপন হয়েছে। নদীর মধ্যে চাষ হচ্ছে। এসব কাম্য নয়। নদী স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলছে। এসবের কারণে নদী খাত পরিবর্তন করছে। শহর ঘেঁষে নদীর গভীরতম খাত দেখা যাচ্ছে। এটা ভীষণ উদ্বেগের বিষয়।
কোচবিহার শহর ঘেঁষে বয়ে চলা তোর্সায় শীতের সময় জল খুবই কম থাকে। কিন্তু বর্ষায় নদী ভয়াল রূপ ধারণ করে। নদী বাঁধের খুব কাছাকাছি জল চলে আসাটা প্রতি বছর বর্ষায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের একেবারে ধারে ঘেঁষে নদী বয়ে চলার কারণেই এনিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।