সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
সম্প্রতি লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে জানান, ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে মোদি সরকার। এজন্য তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। এদিন কেন্দ্র তথা বিজেপিকে তোপ দাগতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন বরুণ। তিনি বলেন, গরিবদের বিনামূল্যে পাঁচ কেজি রেশন দিয়েছে সরকার। এর জন্য তারা ধন্যবাদ প্রত্যাশা করছে। কিন্তু, এই সরকারই বিগত পাঁচ বছরে দুর্নীতিবাজ শিল্পীপতিদের ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করে দিয়েছে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘রেওড়ি সংস্কৃতি’ বলেই কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিনামূল্যে রেওড়ি পাওয়ার তালিকায় মেহুল চোকসি ও ঋষি আগরওয়াল সবার উপরে রয়েছেন। এরপরই মোদি সরকারকে তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, ‘সরকারি কোষাগারের উপর প্রথম অধিকার কার?’
এদিনের টুইটে একটি গ্রাফিক্সও জুড়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভগবন্ত কে কারাদের সূত্র উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে অনাদায়ী ঋণের পরিসংখ্যান রয়েছে। পাঁচ বছরে তার পরিমাণ ৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে প্রধান ১০ ঋণখেলাপি সংস্থার নামও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
শিল্পপতিদের ঋণ মকুব নিয়ে এর আগে বিরোধী দলগুলি বারবার মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এবার স্বয়ং দলীয় সাংসদও একই সুরে কথা বলায় বিপাকে বিজেপি শিবির। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কেন্দ্র ও নিজের দলকে বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করেছেন পিলবিটের সাংসদ। উত্তরপ্রদেশের চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তোপ দেগেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, রেলে বয়স্কদের টিকিটে ছাড় তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হন বরুণ। এছাড়া, প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যে জিএসটি, অগ্নিপথ প্রকল্প সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ খুলে সরকার ও বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন এই সাংসদ।