ব্যাঙ্কক: পূর্ব থাইল্যান্ডে ভিড়ে ঠাসা মিউজিক পাবে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল ১৩ জনের। জখম বহু। ব্যাঙ্ককের ১৬০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে চোনবুরি প্রদেশের সাত্তাহিপ জেলার এই পাবে শুক্রবার ভোররাতে আগুন লাগে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। পাবে থাকা লোকজন বেরিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা করেন। বেরনোর সময় অনেকের পোশাকে আগুন ধরে যায়। ওই অবস্থাতেই প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছুটতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের দাবি, এক-দু’মিনিটের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা গোটা পাবটিকে গ্রাস করে। ফলে সবাই বেরিয়ে আসতে পারেননি। তাঁদের উদ্ধার করাও সম্ভব হয়নি। দমকল কর্মীরা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কীভাবে ওই পাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন পুলিস প্রধান আত্থাসিত কিজ্জাহান। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪০ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে ব্যাঙ্ককে নিউ ইয়ার পার্টি চলাকালীন একটি নাইট ক্লাবে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ৬৬ জনের। জখম হন প্রায় ২০০ জন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ভয়াবহ দৃশ্য সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে পাব। দরজা দিয়ে বেরনোর জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি চলছে। ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছে লোকজনের আর্ত চিৎকার। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, মঞ্চের ডানদিকে সিলিংয়ে প্রথম আগুন দেখা যায়। তার পরই বিস্ফোরণের মতো প্রচণ্ড জোরে শব্দ হয়। জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই। পাবে তখন গান চলছিল। আগুন দেখা মাত্র গায়ক চিৎকার করে ওঠেন। মাইক্রোফোন ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাকিদের মতো পালানোর চেষ্টা করেন তিনিও। পুলিস জানিয়েছে, পাবটিতে তিনটি দরজা। একটি সামনে, একটি ক্যাশিয়ারের পাশে (যা জিনিসপত্র বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়) এবং তৃতীয়টি পিছনে। কিন্তু পিছনের দরজাটি সাধারণত বন্ধই থাকে।