অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পিকের কণ্ঠস্বর নকল করে কংগ্রেস নেতাদের ফোন করার অভিযোগে গত মঙ্গলবার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ফোনে কংগ্রেস নেতাদের বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের নামে প্রকাশ্যে কুৎসা করতে হবে। কারণ, হাইকমান্ড সেটাই চাইছে। কথা অনুযায়ী কাজ করলে এইসব নেতাদের সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তারই মধ্যে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসেও এরকম একটি প্রতারণা চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। প্রশান্ত কিশোরের গলা নকল করেই লুধিয়ানা, ভাতিন্দা, জলন্ধর, অমৃতসর ও সাঙ্গুরের ৩০ থেকে ৩০ জন নেতার কাছে ফোন যায়। ওই ঘচনায় প্রতারণার পরিমাণ অন্তত ৫ কোটি টাকা। বিধায়ক কুলদীপ সিং বৈদ্যের কাছেও এরকম একটি ফোন এসেছিল। নির্বাচনী কেন্দ্রের সমীক্ষা রিপোর্ট তাঁর সপক্ষে তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘উপহার’ চাওয়া হয় এই বিধায়কের কাছে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখান থেকেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। প্রতারকদের জালে তুলতে ফাঁদ পাতে পুলিস। ১১ ও ১৩ মে জলন্ধর থেকে রাকেশকুমার ভাসিন ও রজতকুমার রাজা নামে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। তাঁদের জেরা করে পুলিস গৌরব শর্মা নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পায়। গৌরব শর্মা নামে সেই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যক্তি প্রশান্ত কিশোরের গলা নকল করতে ওস্তাদ। ধৃতরা সবাই আদতে অমৃতসরের বাসিন্দা। পুলিসের এক কর্তা বলেন, গৌরব শর্মা আদতে জুয়ারি। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলে সে। টিভিতে প্রশান্ত কিশোরকে দেখে তাঁর কথা বলার ভঙ্গি নকল করা শুরু করে। শুধু পাঞ্জাব নয়, এর আগে একইভাবে বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছিল সে। অন্য রাজ্যগুলিতে এফআইআর হলেও এতদিন এই প্রতারণা চক্রের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিস। পাঞ্জাবে প্রতারণার শিকার হওয়া নেতাদের মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র থেকে শুরু করে প্রাক্তন ভোটপ্রার্থীও রয়েছেন।