কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কেরল, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মণিপুরের রাজ্যপালদের কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ হতে চলেছে। পাশাপাশি পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ইস্তফা দিয়েছেন। সেখানেও নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই যে নামগুলি নিয়ে বিজেপির অন্দরে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে, তাঁরা হলেন মানেকা গান্ধী, ভি কে সিং, সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, হর্ষবর্ধন, অশ্বিনী চৌবে, অর্জুন মুন্ডা, নারায়ণ রাণে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় এবার লোকসভা ভোটে বিপুল ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। মূল কারণ, জাঠ ভোটব্যাঙ্ক। রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা জয়ন্ত চৌধুরী এই ভোটব্যাঙ্কের সমর্থন পেলেও যেখানে বিজেপির প্রার্থী, সেখানে তাঁরা বিরূপ ছিলেন। তাই জাঠ ভোটারদের সন্তুষ্ট করার প্রয়াস শুরু হয়েছে। জগদীপ ধনকারের মতো কোনও জাঠ নেতাকে সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল করা হবে। অন্যদিকে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে খুশি করতে হলে তাঁদের একাধিক উপহার দিতেই হবে। আর তাই এবার এনডিএ’র এই দুই প্রধান শরিক দল থেকেও দু’জন নেতাকে বেছে নেওয়া হতে পারে সম্ভাব্য রাজ্যপাল হিসেবে। শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে সংযুক্ত জনতা দলের নীতীশ-ঘনিষ্ঠ কে সি ত্যাগীকে রাজ্যপাল করা হতে পারে কোনও রাজ্যের। তবে বাংলার জন্য কাকে বাছাই করা হতে পারে, সেটা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না।
জানা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের আগে বাংলায় বিজেপির সংগঠন আমূল বদলে দিতে চান নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। আর পাশাপাশি সরাসরি রাজনীতি এবং সংসদীয় প্রশাসন সম্পর্কে সম্যক অবহিত কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই বাংলায় আগামী দিনে করা হবে রাজ্যপাল। বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে রাজ্যসভার নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মোদি। ওই পদে আগে ছিলেন পীযূষ গোয়েল। তিনি এবার লোকসভায় নির্বাচিত। তাই আপাতত চলতি অধিবেশনের পর বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে কার্যকরী সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নেওয়া হবে। তারপর নিয়োগ হবে নতুন সভাপতি। তিনিই তৈরি করবেন নতুন টিম।