নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেসরকারি বিএড কলেজগুলি শিক্ষকদের যোগ্যতা সংক্রান্ত প্রমাণ দিতে টালবাহানা চালিয়েই যাচ্ছে। ফলে সোমবার বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি কলেজগুলিকে ফের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য অনুমোদন দিতে পুরনো শিক্ষকদের তথ্য যাচাইকরণ এবং নতুন শিক্ষকদের ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর ভিত্তিতেই কলেজগুলিকে পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। বহুদিন আগে এই বিজ্ঞপ্তি দিলেও কলেজগুলি থেকে সাড়া মিলছে না। সূত্রের খবর, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কলেজই এখনও এতে অংশ নেয়নি। প্রসঙ্গত, বিএড কলেজের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য মাস্টার ডিগ্রি, বিএড এবং এমএডে ৫৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পাওয়া আবশ্যিক। বহু কলেজেই এই মানের শিক্ষক-শিক্ষিকা পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই বলে খবর। সেই কারণেই সম্ভবত কলেজগুলি এগিয়ে আসছে না। তাছাড়া, যে বেতন তাঁরা শিক্ষকদের দিচ্ছেন, তাতে যোগ্য প্রার্থীও তাঁরা পাচ্ছেন না। নিয়ম অনুযায়ী সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতে হয় কলেজগুলিকে। তারা সেই বিজ্ঞাপনও ঠিকমতো দেয় না। ১০০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন অধ্যক্ষ এবং ১৬ জন শিক্ষক প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গ্রন্থাগারিক এবং অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মী প্রয়োজন। সেসবের অভাবও দেখা যায়। গতবছর বিভিন্ন মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ না হওয়ায় প্রায় অর্ধেক কলেজের ছাত্রভর্তির অনুমতি স্থগিত রাখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বেসরকারি কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি তপন বেরা বলেন, ‘কলেজগুলি কেন গড়িমসি করছে জানি না। তাদের এগিয়ে আসা উচিত। না-হলে গোটা প্রক্রিয়াটাই সমস্যায় পড়বে।’ প্রসঙ্গত, কলেজগুলি অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক ধরে নিয়ে এসে নিজেদের বলে চালায়, এমন অভিযোগও রয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখছে।