কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উন্নয়ন সংস্থাগুলিকে রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং সেখানে বেশি সংখ্যক কর্মী থাকা নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীঘা শঙ্করপুর ও হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থার নাম এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন। হলদিয়াতে যেখানে পুরসভা আছে, সেখানে উন্নয়ন সংস্থার আলাদা কী কাজ করার আছে? দীঘা উন্নয়ন সংস্থার বিশাল অফিস বাড়ির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন? তিনি বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলিতে যে বিপুল সংখক কর্মী আছেন তাঁরা কী কাজ করেন? তাঁদের অন্যত্র কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নয়ন সংস্থার বিষয়টি দেখতে বলেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচন পর্ব মেটার পর থেকে এবং তার আগে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিকবার ভূমিদপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে মমতা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি ও তার জবরদখল নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চান। এরপর মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা সব জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে সরকারি জমি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চান। সেই রিপোর্টের কী হল, মুখ্যমন্ত্রী সেব্যাপারে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জানতে চান। মুখ্যসচিব তখন বলেন, জেলা থেকে রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে জমির মিউটেশন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অনলাইনে মিউটেশনে ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঠিকঠাক কাজ হচ্ছে না। জমির বেআইনি মিউটেশন হচ্ছে এমন ইঙ্গিতও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পুরসভাগুলিকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। লাইসেন্স দেওয়ার আগে সবকিছু খতিয়ে দেখে নিতে বলেন।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার প্রবীণ আইএএস আধিকারিক বিবেক কুমারকে ভূমিদপ্তরের দায়িত্বে এনে দপ্তরের কাজকর্মের ধারায় পরিবর্তন আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, এটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। ভোটের আগে ওই দপ্তরের সচিবের দায়িত্বে থাকা স্মারকি মহাপাত্রকে পরামর্শ দিলেও তা যে সেভাবে কার্যকর হয়নি, সেটাও বৈঠকে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সচিব পর্যায়ে আইএএস আধিকারিকদের আরও কিছু রদবদল এদিন হয়েছে। বিনোদ কুমারকে ফের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব করার কথা মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকেই জানান। ওই দপ্তরের সচিব পদে থাকা সঞ্জয় বনসালকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বিবেক কুমার এতদিন বনদপ্তরের সচিব ছিলেন। ওই দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দমকল দপ্তরের সচিব মনোজ আগরওয়ালকে। স্মারকি মহাপাত্র গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা দপ্তরের সচিব হলেন। কৃষ্ণ গুপ্তাকে সমবায় দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।