কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, পুরনো কারখানা চালিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছিল না ব্রিটানিয়া কর্তৃপক্ষ। তাই পাকাপাকিভাবে তারা কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রমিক সংগঠন সিটুর আওতায় থাকা ব্রিটানিয়া মজদুর ইউনিয়নের কর্তা গৌতম রায় সোমবার জানান, তারাতলার কারখানায় স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন। তাঁরা প্রত্যেকে স্বেচ্ছাবসরে রাজি হয়েছেন। চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে ১৩ লক্ষ থেকে ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী আছেন ২৫০ জন। যেহেতু ১৫ দিনের উপর কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে। তাঁদের প্রাপ্য কী হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা এখনও বাকি, জানিয়েছেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, যে জমিতে কারখানাটি গড়ে উঠেছিল, সেটি বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি। আমরা যতটুকু জানি, যে জমি এখনও ফাঁকা পড়ে আছে, সেটি বন্দরকে ফেরত দেওয়া হবে। বাকি জমিতে অফিস চালু রাখবে ব্রিটানিয়া। তাঁর আক্ষেপ, বিগত কয়েক বছরে বন্দর এলাকায় ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানেই নয়া সংযোজন হতে চলেছে ব্রিটানিয়া।
১৯৪৭ সালে তারাতলায় চালু হয় ব্রিটানিয়ার বিস্কুট কারখানা। তারপর বাংলার শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত এই কারখানাটি। পরবর্তীকালে আধুনিকীকরণের উপর জোর দেন সংস্থার কর্তারা। বছর কয়েক আগে সংস্থার শীর্ষমহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে হাওড়ার ধূলাগড়ে একটি নতুন কারখানা তৈরির কথা সংস্থার। তবে এই বিষয়ে ব্রিটানিয়ার তরফে কোনও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। ফলে তারাতলার এই কারখানা বন্ধ করে অন্য কোথাও তা চালু হবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।