কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
নিটের প্রশ্ন ফাঁস ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। বেকায়দায় পড়ে মোদি সরকার সিবিআই তদন্ত ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি মাঠে নামার আগেই বিহার পুলিসের ইকনমিক অফেন্সেস উইং এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে রয়েছে একাধিক সন্দেহভাজন পরীক্ষার্থীও আছে। অভিযুক্তদের সকলেই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বিহার পুলিস সূত্রের খবর, ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে ভিন রাজ্যেরও কিছু পরীক্ষার্থীর খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকায় নিটের প্রশ্ন কিনেছিল ওই পরীক্ষার্থীরা। তারা মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতসহ প্রভৃতি রাজ্যের বাসিন্দা।
এই তথ্য জানার পরই বাংলার পুলিস কর্তারা উদ্যেগী হয়েছেন এখানেও এই চক্রের সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে। সূত্রের খবর, সিআইডিকে এই বিষয়ে প্রাথমিক খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, ফাঁস-হওয়া প্রশ্ন ক্রয়ে কিছু পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন কোচিং ইনস্টিটিউিটের নামও সামনে এসেছে। এই দু’পক্ষের কাছেই প্রশ্ন গিয়েছে বলে খবর। গত কয়েকবছরে এরাজ্যে একাধিক নতুন কোচিং ইনস্টিটিউিট তৈরি হয়েছে। ভিন রাজ্যেরও একাধিক কোচিং ইনস্টিটিউট শাখা খুলেছে বাংলায়। কিছু প্রতিষ্ঠান আবার শুধুই ডাক্তারি ভর্তি বা নিটের জন্য কোচিং দিচ্ছে। তাদের সাফল্যের হারও বাড়ছে প্রতিবছর। সেই কারণে, এরাজ্যে সক্রিয় এরকম কোনও ইনস্টিটিউটের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের যোগসাজশ গড়ে উঠেছিল কি না তদন্তকারীরা জানতে চান। তাই অভিযুক্তদের কল ডিটেইলস ও মেসেজ আদান-প্রদানের কপি ঘেঁটে বাংলার কারও নাম বিহার পেয়েছে কি না, তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খোঁজ চলছে, পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য বাংলা থেকে কাউকে ভিন রাজ্যে ধৃতরা নিয়ে গিয়েছিল কি না তার তথ্য। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্ন ফাঁস ও ভুয়ো পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষায় বসার এক চক্রের খোঁজ ১৭ বছর আগে কলকাতা পুলিস পেয়েছিল। তখনই জানা গিয়েছিল, এই চক্র চলছিল বিহার থেকেই। কয়েকজনকে ধরা হয় সেবার, তবে তারা সকলেই পরে জামিনে মুক্তি পায়। তাদের মধ্যে কেউ এই চক্রে ফের জড়িয়েছে কি না সেটা বিহার পুলিসের মাধ্যমে জানতে চান বাংলার পুলিস কর্তারা।