কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কীভাবে তা সম্ভব? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, ‘প্রথমে পাকা পেঁপের কালো বীজ থেকে নির্যাস বের করতে হবে। বিজারক হিসেবে তা ব্যবহার করতে হবে সিলভার নাইট্রেট নামে একটি রাসায়নিকের সঙ্গে। এর ফলে তৈরি হবে সিলভার ন্যানো পার্টিকল। তা জলে দিলে লার্ভা নষ্ট হবে। ডেঙ্গু মশার পাশাপাশি অন্যান্য মশার লার্ভাও নষ্ট হবে। পরীক্ষামূলকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পেটেন্টও এসেছে। এখন যে কোনও সংস্থা এই ফর্মুলা কিনে পণ্য হিসেবে তা বাজারে আনতে পারবে।’ কোনও না কোনও সংস্থা এ ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, এই ধরনের পণ্য তৈরি করতে খরচ অনেকটাই কম। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফুলের টব বা ড্রামের জলেও ব্যবহার করা যাবে নিশ্চিন্তে। এরাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁপে উৎপাদন হয়। তাই বীজ পেতে তেমন সমস্যা হবে না। পেঁপে খাওয়ার পর বীজ ফেলে দেওয়া হয়। সেটি সংগ্রহ করে খুব সহজেই মশার বংশ নিধন করা যাবে। ডেঙ্গুর পাশাপাশি ফাইলেরিয়া রোগ বহনকারী মশার লার্ভাও ধ্বংস হবে বলে দাবি তাঁর।
স্বাস্থ্যদপ্তরও বিষয়টি নিয়ে উৎসাহিত। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, জমা জলে মশার লার্ভা বিনাশ করতে এখনও পর্যন্ত মানুষের সচেতনতাই প্রধান ভরসা। যত্রতত্র জল জমা আটকাতে লাগাতার প্রচার করা হয়। জমা জলে গাপ্পিমাছ ছাড়া হয়, যাতে মশার লার্ভা খেয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু পেঁপের বীজের রস থেকে তৈরি এই রাসায়নিক তো যে কোনও জায়গায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে। এটাই ইতিবাচক ব্যাপার। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় এ বিষয়ে বলেন, ‘এই ধরনের উপকরণ যাতে কাজে লাগানো যায়, তার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকেই প্রথম এগিয়ে আসতে হবে।’ উপাচার্য জানান, ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগগুলি ক্রমশ মানুষের আতঙ্ক হয়ে উঠছে। তাই মশা কীভাবে নিধন করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাতেই সাফল্য মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পেটেন্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই পেটেন্ট চেয়েছিলাম আমরা। তবে বিষয়টি যখন সমাজের কাজে লাগবে, তখনই আসল সাফল্য আসবে।’