নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ভোটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে টাকার খেলার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। নগদে হোক বা অন্য কোনও উপায়ে ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলে বহু জায়গায়। তার সঙ্গে থাকে ভোটে প্রচারের লাগাম ছাড়া খরচ। টাকার মাধ্যমে এই দু’টি ক্ষেত্র আটকাতে নির্বাচন কমিশনের তরফে চালু করা হয় ইলেকশন এক্সপেন্ডিচার মনিটরিং সেল। এটি নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম দায়িত্ব থাকে আয়কর বিভাগের উপর। প্রার্থীরা ভোটের প্রচারে কত টাকা খরচ করতে পারবেন, তা কীভাবে খরচ হবে, তার হিসেবই বা রাখা হবে কীভাবে, সবটাই দেখভাল করে এই সিস্টেম। এর জন্য রাখা হয় এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার। সাধারণত দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রর জন্য একজন করে অবজার্ভার থাকেন। তাঁর কাছে প্রার্থীদের তিনবার হিসেব দাখিল করতে হয়।
আয়কর দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এই গোটা প্রক্রিয়াটিতে শুধু যে প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনই নজরদার থাকে, তা নয়, সাধারণ মানুষও এতে অংশ নিতে পারেন। কারণ কোথায় কীভাবে অবৈধভাবে টাকার নেলদেন হচ্ছে, তার সবটুকুর হদিশ প্রশাসনের পক্ষে পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সেই তথ্য যদি কোনও সাধারণ মানুষের কাছে থাকে, তাহলে তাঁরা তা নির্দ্বিধায় আয়কর দপ্তরকে জানাতে পারেন। কালো টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দিতে এখন যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, তা সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে, জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের থেকে ভোটের আগে বহু তথ্য এসেছে, যা থেকে বড় অঙ্কের বেআইনি টাকার হদিশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এবারও সেই সুযোগ করে দেবেন সাধারণ মানুষ, আশায় আছেন তাঁরা।