নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। এই টিমগুলি বিভিন্ন জায়গায় আচমকাই অভিযান চালাবে। কেউ মদ, টাকা বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য দিয়ে কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযান চালানোর সময় পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। সাধারণ মানুষও নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানাতে পারেন। এক আধিকারিক বলেন, প্রতিবারই নজরদারির জন্য এই ধরনের টিম তৈরি করা হয়। এবার এই টিমগুলির সক্রিয়তা আরও বাড়ানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, করোনার সময় ভোট হওয়ায় এবার বেশকিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। বয়স্ক, করোনা আক্রান্ত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ভোটদানের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট নেওয়া হবে। সব জেলাতেই ওই ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬২হাজার ২৫ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটার রয়েছেন। ৮০বছরের বেশি বয়সের ভোটার রয়েছেন ৬৫হাজার ৭৪১জন। জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী বলেন, ১৫জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী এই জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৫৪ লক্ষ ৮৯হাজার ৪৯২জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০০ জন। ২৭লক্ষ ৫ হাজার ৭৮১ জন মহিলা ভোটার রয়েছে। মুর্শিদাবাদে মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা সাত হাজার ৬৩৪টি। জেলায় দু’দফায় নির্বাচন হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে কমিশন সমস্ত রকম পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। তারা রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে। এবার ফ্লাইং স্কোয়াড টিম তৈরি করে আরও বেশি করে নজরদারির চালানো হবে। বিশেষ করে টাকা, মদ ও মাদকদ্রব্য দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আর কাউকে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া হবে না।