হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
আগামী বৃহস্পতিবার, ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ রেড রোডে শুরু হবে বেলা ১০টায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় পতাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি ছড়ানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে উড়বে বেলুন। এরপর পুলিস অফিসারদের চিফ মিনিস্টার মেডেল দেবেন তিনি। শুরু হবে প্যারেড। কলকাতা পুলিসের ট্যাবলো থাকছে, তাদের থিম ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’। তারপরে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিসের ব্রাস ব্যান্ড। এরপরেই প্যারেডে অংশ নেবে কলকাতা মহিলা পুলিস। তারপরে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিসের ব্যান্ড, কলকাতা পুলিসের র্যা ফ, মাউন্টেড পুলিস।
তারপরে আসবে পরপর আটটি ট্যাবলো। যার প্রথম হল, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক স্লোগান, জল বাঁচান। জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই ট্যাবলো তৈরি হয়েছে। যেখানে জল বাঁচানোর জন্য বৃষ্টির জল সংরক্ষণ সহ জল অপচয় বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে। গত ১ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী জল বাঁচানোর ডাক দিয়ে বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করেছেন। এই ট্যাবলোর সঙ্গে ৫০ জন হাঁটবেন। এরপরেই আসবে বিদ্যুৎ বাঁচান থিম নিয়ে ট্যাবলো। বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই ট্যাবলো করা হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আবেদন জানানো হবে। এই ট্যাবলোর সঙ্গেও হাঁটবেন ৫০ জন। যাঁদের আবেদন থাকবে, সেভ ইলেক্ট্রিসিটি।
এরপরেই আসবে সবুজ বাঁচানোর আবেদন নিয়ে পরিবেশ দপ্তরের ট্যাবলো। সেখানে গাছ কাটা বন্ধ, গাছ লাগানো প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরা হবে। এই ট্যাবলোর সঙ্গে ৫০ জন উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে এই ইস্যুতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের কুচকাওয়াজে এই ট্যাবলো ছাড়াও এই ইস্যুতে পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা নাচও করবেন। তাঁরা গাছ না কাটার আবেদন ছৌ-এর মাধ্যমে তুলে ধরবেন। এরপরে আসবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। এটি আগেও ছিল। থাকবে খাদ্যসাথী ও সবজুসাথী। এরপরেই কুচকওয়াজে ‘বাঙালির প্রিয় ফুটবল’কে থিম করে বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে ৭০ জন ফুটবলার নানা ধরনের ফুটবল শৈলী দেখাবেন। সঙ্গে গান বাজবে ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’। সর্বশেষ ট্যাবলো হল বাংলা মোদের গর্ব। এবারই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় সমাজ সচেতনতার আবেদন জানিয়ে চারটি ট্যাবলো নামছে। স্বাধীনতা দিবসের এই কুচকওয়াজে ৫০টি স্কুলের ছেলেমেয়ে, পাহাড়ের নাচ, ছৌ শিল্পীরা অংশ নেবেন। সব মিলিয়ে কুচকাওয়াজের সময় হল দেড় ঘণ্টা।