নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, বাম-কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নিভে যাওয়ার আগে শেষবার হয়তো একটু জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। তাতে হুগলির রাজনৈতিক পরিসরে বিশেষ কোনও বদল হবে না। তবে রামে আর বামে মিলে গিয়েছিল। বাম-কংগ্রেসের নতুন উদ্যমে গেরুয়া শিবির হয়তো দুঃখ পাচ্ছে। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, বিজেপি কারও কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। বাম শিবিরের কর্মীরা আমাদের সমর্থন করছিলেন, তা রাজনৈতিক অপপ্রচার মাত্র। ফলে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের উৎসাহ নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র ভাবিত নই। হুগলিতে আমরা তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের সমর্থন চাইছি। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, কে কী বলছে, সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিচুতলা পর্যন্ত কর্মিমহল মানুষের সমর্থনের ঢলে উজ্জীবিত। সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলতে পারি, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দু’টি স্বৈরতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে আম জনতা বিকল্প চাইছে এবং সেটা আমরাই। এই বার্তা নাগরিকমহল স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
হুগলি শিল্প এবং কৃষি বলয়ের একদা বামেদের দাপট অবিসংবাদিত ছিল। বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে বামেদের সেই দাপট খুব দ্রুত উধাও হয়ে যায়। আর শেষ তিনবছরে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহে বাম শিবিরের নিচুতলা গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই বাস্তবতা শেষ লোকসভা নির্বাচনে সুস্পষ্টভাবে রাজনৈতিক মহলের নজরে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাম নেতৃত্ব আসরে নামলেও তেমন সাফল্য মিলছিল না। কিন্তু করোনা পর্ব থেকেই হুগলির বাম শিবিরে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। একদিকে নবীন কর্মিমহলের উৎসাহ, কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট এবং মুখ ফিরিয়ে থাকা নিচুতলার কর্মীদের ঘরে ফেরা পালা বদলের ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বামেদের প্রতি নবগঠিত আইএসএফের সমর্থনের বার্তা। তার পরেই ব্রিগেড জনসভার সাফল্য দ্বিধাগ্রস্ত বাম-কংগ্রেস কর্মীদেরও লড়াইয়ের মূলস্রোতে ফেরাচ্ছে। তাতেই নতুন অক্সিজেনের জোগান পেয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জোট।