হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
অযান্ত্রিক নাট্যসংস্থার নতুন প্রযোজনা ‘অপ্রকাশিত রামায়ণকথা’ প্রথম মঞ্চস্থ হতে চলেছে ৪ আগস্ট, রবিবার,অ্যাকাডেমিতে, সন্ধে সাড়ে ছটায়। তাই বেশ ব্যস্ততা নাটকের কুশীলবদের মধ্যে। চলেছে শেষের মহড়া। তা-ই দেখতে পৌঁছে যাওয়া মহড়াকক্ষে। সামনেই নাট্যকার এবং অন্যতম নির্দেশক, সোমনাথ বড়াল। প্রথমেই জানালেন, ‘পরিচালনায় আমার সঙ্গে আছেন তন্ময়বসু এবং চন্দ্রা দেব।’
পরশুরামের ‘ভুশুণ্ডির মাঠে’ করে অযান্ত্রিক প্রভূত প্রশংসা পেয়েছিল দর্শক এবং সমালোচকদের কাছ থেকে। ‘আবার পরশুরামেই ফিরে আসা। আসলে ভুশুণ্ডির মাঠে’র পর বেশ কয়েকটি সিরিয়াস নাটক করি। এই মুহূর্তে মনে হল একটু অন্য কিছু করি। আর অন্যরকম মানেই পরশুরাম’, জানালেন সোমনাথ। পরশুরামের দুটি গল্প ‘স্মৃতিকথা’ এবং হনুমানের গল্প’কে অবলম্বন করে নাটকটি লিখেছেন সোমনাথ। নাম দিয়েছেন, ‘অপ্রকাশিত রামায়ণকথা’।
‘এটি একটি মিউজিক্যাল ড্রামা। পৌরাণিক ফ্লেভারের আড়ালে স্যাটায়ার। যে কথাগুলো বাল্মিকী লিখে যাননি, সে কথাই জানিয়েছেন পরশুরাম। এটা ওঁর পক্ষেই সম্ভব, জানালেন নাট্যকার। রামায়ণের বিভিন্ন চরিত্রের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে আজকের বাস্তব। যে কারণে ‘অযান্ত্রিক’এর এই প্রযোজনা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। যেহেতু গীতিনাট্য, তাই গানের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। সুর রচনা করেছেন প্রয়াত অভিনেতা রমাপ্রসাদ বণিকের অগ্রজ বাণীপ্রসাদ। আবহ তাঁরই সৃষ্টি।
‘স্বপ্নময় চক্রবর্তীর একটি গল্প আছে, হনুমানের মাদুলি। সেই গল্পে বেশ কয়েকটি গান আছে। ওঁর অনুমতিক্রমে আমরা সেই গানগুলো আমাদের নাটকে ব্যবহার করেছি। প্রত্যেক শিল্পী, নিজের গলায় গান গাইছেন’, জানালেন সোমনাথ। রামায়ণ এক বিশাল কাব্য, অসংখ্য তার চরিত্র। সেই সব চরিত্রদের মধ্যে থেকে কিছু চেনা, স্বল্প চেনা চরিত্রদের অজানা কথা, আজকের প্রেক্ষিতে জানতে হলে, দেখতে হবে ‘অযান্ত্রিক’এর নতুন নাটক, ‘অপ্রকাশিত রামায়ণ কথা’, আগামী ৪ আগস্ট, ৬-৩০এ, অ্যাকাডেমিতে। মহাকাব্যের চরিত্রদের মঞ্চে জীবন্ত করে তুলবেন, চন্দ্রা দেব, চন্দ্রিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় বসু, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ দাস, মনোজিৎ ভট্টাচার্য, আশিস ভট্টাচার্য, মুকুলেশ দাম, রবিশংকর মৈত্র, সুব্রত দত্ত, নবকুমার হালদার এবং সোমনাথ বড়াল। এই ধরনের পৌরাণিক নাটকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আলো এবং কস্টিউম। সামলাচ্ছেন যথাক্রমে বাদল দাস এবং দেবাশিস পাল।