হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শনিবার ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আবার মুখোমুখি এই দুই দল। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামকে ৫-০ গোলে চূর্ণ করেছে ম্যান সিটি। পক্ষান্তরে, অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টটেনহ্যাম। তাদের কোচ মরিসিও পোচেত্তিনো এদিন বলেছেন, ‘গত মরশুম এখন অতীত। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ম্যান সিটিকে হারানোর জন্য সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে হবে। আমরা চেষ্টা করব, রক্ষণ সংগঠন জমাট রেখে আক্রমণে উঠতে। এটা ঠিক যে, পেপের দল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা। তবে অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে টটেনহ্যাম।’
শনিবারের প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন ম্যান সিটির হেডস্যার পেপ গুয়ার্দিওলাও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘টটেনহ্যাম হটস্পার সবসময়েই কঠিন প্রতিপক্ষ। ইংল্যান্ডে আসার পর থেকেই তা আমি উপলব্ধি করেছি। মরিসিও পোচেত্তিনোর প্রশিক্ষণে প্রত্যেকে লড়াকু ফুটবল মেলে ধরতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই ওদের হারানো সহজ নয়। চেষ্টা করব, লিগে জয়ের ধারা বজায় রাখতে। তবে কাজটা বেশ কঠিন।’
জিদানই ভরসা রিয়াল মাদ্রিদের: শনিবার সেলতা ভিগোর বিরুদ্ধে লা লিগা অভিযান শুরু করছে রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি মরশুমে সমর্থকদের যাবতীয় আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে কোচ জিনেদিন জিদান। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দল ছাড়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের শক্তি অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ছন্দে নেই করিম বেনজেমা, লুকা মডরিচের মতো তারকারা। প্রাক মরশুম প্রস্তুতি পর্বে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন মার্কো আসেন্সিওর মতো প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলার। চেলসি থেকে এসে এখনও ছন্দ খুঁজছেন বেলজিয়ান অ্যাটাকার ইডেন হ্যাজার্ড। পেশির চোটের কারণে সেলতা ভিগোর বিরুদ্ধে তাঁর সার্ভিস পাবে না দল। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে আশা দেখাচ্ছে জিজুর ক্যারিশমা।
গত মরশুমের শেষ পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জিদান। সেই পর্বে তাঁর প্রশিক্ষণে ১১টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল দল। এই প্রসঙ্গে জিজু বলেছেন, ‘গত মরশুম অতীত। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে। প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। জানি, বেশ কিছু জায়গায় উন্নতির অবকাশ রয়েছে। ম্যাচ খেলতে খেলতেই তা হবে। সেলতা ভিগোর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ যে কোনও মূল্যে জিততে চাই। ইডেন হ্যাজার্ডকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলে এসে লা লিগার গেম স্টাইলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া সহজ নয়। আশা করি, এবার দল চিত্তাকর্ষক ফুটবল খেলবে।’