হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
(সাদিও মানে-২) (জিরু, জর্জিনহো)
ইস্তানবুল, ১৬ আগস্ট: প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই নায়ক হলেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। এই মরশুমেই ওয়েস্ট হ্যাম থেকে তাঁকে লিভারপুলে নিয়ে এসেছেন কোচ জুরগেন ক্লপ। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে নরউইচ সিটির বিরুদ্ধে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান দুর্গপ্রহরী আলিসন। তাই উয়েফা সুপার কাপে চেলসির বিরুদ্ধে ক্লপ-ব্রিগেডের ‘লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স’ ছিলেন তিনিই। টাই-ব্রেকারে চেলসির শ্যুটার ট্যামি আব্রাহামের শট রুখে লিভারপুলকে মরশুমের প্রথম ট্রফি এনে দিলেন ৩২ বছর বয়সী আদ্রিয়ান। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। অতিরিক্ত সময়েও দুই দল একটি করে গোল করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে। এই পর্বে লিভারপুলের হয়ে লক্ষ্যভেদে অবিচল ছিলেন যথাক্রমে রবার্তো ফারমিনো, ফাবিনহো, ওরিজি, আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ও মহম্মদ সালাহ। চেলসির হয়ে জাল কাঁপিয়েছেন যথাক্রমে জর্জিনহো, রস বার্কলে, মাউন্ট ও এমার্সন।
উয়েফা সুপার কাপে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। কারণ, লিগের প্রথম ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ০-৪ গোলে চূর্ণ হওয়ার পর চেলসিকে কেউই ধর্তব্যের মধ্যে ধরেননি। তবে এই ম্যাচে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল দুরন্ত লড়াই করেছে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পালিসিচের পাস থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ অলিভার জিরুর (১-০)। এই ম্যাচে দুই গোলরক্ষক আদ্রিয়ান ও কেপা আরিজাবালাগা একাধিকবার দক্ষতার শীর্ষে উঠে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। প্রথমার্ধে লিভারপুলের প্রাধান্য থাকলেও চেলসিও বিক্ষিপ্তভাবে বিপজ্জনক আক্রমণ শানিয়েছে। ৪০ মিনিটে পালিসিচ জালে বল জড়ালেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চেম্বারলিনের পরিবর্তে রবার্তো ফারমিনো নামার পর লিভারপুলের পারফরম্যান্সে তীক্ষ্ণতা বাড়ে। মো সালাহ ও সাদিও মানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করায় আজপিলিকুয়েতা-এমার্সনদের। ৪৮ মিনিটে ফারমিনোর পাস থেকে নেওয়া মানের প্রয়াস আংশিক রুখে দেন কেপা। ফিরতি প্রচেষ্টায় দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল হয়নি সেনেগালের তারকাটির (১-১)। নির্ধারিত সময়ে এই ফল থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৫ মিনিটে ফারমিনোর মাপা পাস থেকে নেওয়া মানের শট কেপাকে হার মানিয়ে জালে আশ্রয় নেয় (২-১)। যখন সবাই ধরে নিয়েছে লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে তখনই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ চেলসির এমার্সনের (২-২)। ম্যাচের বয়স তখন ১২০ মিনিট। এরপর খেলার নিষ্পত্তি হয় টাই-ব্রেকারে। হারলেও চেলসির পারফরম্যান্স যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে বিশেষজ্ঞমহলে। যোগ্য স্ট্রাইকার থাকলে এই ম্যাচ ল্যাম্পার্ড-ব্রিগেড জিতে পারত বলে অনেকের ধারণা।
ম্যাচের পর লিভারপুলের কোচ জুরগেন ক্লপ বলেন, ‘মরশুমের শুরুতে ট্রফি জিতে ভালো লাগছে। এই পর্বে দলে পারফরম্যান্স নিখুঁত হতে পারে না। অল্পবিস্তর ভুলত্রুটি শুধরে নিতে হবে। যাঁরা বলছেন, চেলসি আমাদের রক্ষণের দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে, আমি তাদের দলে নই।’ ব্লুজের কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বলেন, ‘সুপার কাপ জিততে পারলে ভালো লাগত। তবে এই হারে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। ছেলেরা যথেষ্ট লড়াই করেছে।’