গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পড়ুয়াদের সামনে বক্তব্য রাখতে উঠে নস্টলজিক হয়ে পড়েন পাঠান। তিনি বলেন, আমার স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। স্কুল যদি আমাকে সাহায্য না করত, তাহলে আমি ইউসুফ হতে পারতাম না। আমাকে প্র্যাকটিস করার সুযোগ করে দিয়েছে আমার স্কুল। স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের জন্য যে সব সুবিধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। আজ ছাত্রীদের জন্য কত প্রকল্প রয়েছে।
এদিন কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের কথা বলেন তারকা প্রার্থী। তিনি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদের জন্য একটা গর্বের বিষয় হল এখানে শিক্ষার হার ৮০ শতাংশেরও বেশি। এখানে ছাত্র যুবদের জোশ খুব বেশি। আপনারা আমার জন্য মেহনত করুন। আমিও আপনাদের জন্য আরও বেশি মেহনত করব। আপনি আমাদের জন্য যদি দশ পা হাঁটেন, আমি ১০০ পা হাঁটব। পাঠান যা কথা দেয়, সেটা অবশ্যই রাখে। ছাত্র যুবদের এই জোশ আমাকে মোটিভেট করছে।
কতদিন এই জোশ থাকবে? পড়ুয়াদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন পাঠান। উত্তর দেন পড়ুয়ারা, ‘যতক্ষণ জীবন আছে ততক্ষণ জোশ আছে। এবার আমাদের প্রিয় পাঠানের জয় হবে।’
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, প্রত্যেক কলেজে গিয়ে বোঝাতে হবে আগামী দিনে বিজেপি এলে ভয় কতটা? শিক্ষায় গৈরিকীকরণ হচ্ছে। আমরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হব, নাকি বিজেপির জন্য পিছিয়ে যাব?
সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্র যুবদের। বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএম এক হয়ে বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গুজরাতে জন্ম হলেও ইউসুফের কর্মক্ষেত্র এই বাংলা। ইউসুফ এখানে থাকবেন। আমাদের সকলকে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে। কংগ্রেস এখানে এবার তিন নম্বরে থাকবে।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ইউসুফ আমাদের জাতীয় হিরো। আমরা তাঁকে ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে পাঠাব। আমরা জান লড়িয়ে দেব। সকলকে এই শপথ নিতে হবে।