গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলার সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের সঙ্গে যুক্ত কাটোয়ার বিশিষ্ট অধ্যাপক দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলে এখন মেধাবী যুবক যুবতীরা স্বেচ্ছায় আসছেন। তাঁরা নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন। এটা তো ভালোই। তাছাড়া এখন সামাজিক মাধ্যমে বহু মানুষ যুক্ত। তাঁদের কাছে আমাদের দলের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। সবাই দেখতে পাচ্ছেন। নতুন নতুন ভাবনায় সামাজিক মাধ্যমকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে।
ভোটের প্রচারে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার নতুন নয়। সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে দলের প্রচার সর্বপ্রথম সার্থক ভাবে করে দেখিয়েছিল বিজেপি। পরবর্তীকালে সব দলই তা করতে শুরু করে। সব দলেরই সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা রয়েছেন। তাঁদের কাজই হল দলের বিভিন্ন কর্মসূচি, মতামত রিলস, মিম ইত্যাদির সাহায্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া। শুধু নিজেদের মতামত প্রচার করেই ক্ষান্ত থাকছে না দলগুলি। একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির প্রতি আক্রমণও শানাচ্ছে। সিপিএমও ব্যতিক্রম নয়। তবে তা করতে গিয়ে এআই-এর ব্যবহার করে তারা অন্য সব দলকে নিঃসন্দেহে টেক্কা দিয়েছে। পাশাপাশি কার্টুনের মাধ্যমেও তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে বামেরা। সেখানে কপ্টারে করে নির্বাচনী প্রচারে আসা থেকে সিবিআই ই্যসুতে রাজ্যের মন্ত্রীদের জেলযাত্রা, সব কিছুকেই কটাক্ষ করা হয়েছে কার্টুনের মাধ্যমে। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলার ফেসবুক পেজে দেওয়া কার্টুনে দেখানো হচ্ছে, গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মা ও মেয়ের কথোপকথন। মেয়ে মাকে প্রশ্ন করছে, মাথার উপর এত হেলিকপ্টার ঘুরছে কেন। পরবর্তী কথোপকথনে মা তৃণমূল ও বিজেপি দু’ দলকেই বিঁধছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার অবশ্য বলেন, সিপিএমের কোনও কিছুই আর কাজে আসবে না। রাজ্যের মানুষ জানেন সিপিএম কী করেছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেহেতু যুব সমাজের একটা বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সহজেই প্রবেশ করা যায়। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে যে কোনও ইস্যুকে বড় আন্দোলনের রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় সোশ্যাল মিডিয়া। সারাদিন ধরে বিভিন্ন সিনেমা কিংবা ভাইরাল হওয়া বাস্তব ঘটনাকে ব্যবহার করেই চলছে সামাজিক মাধ্যমে ভোট প্রচার। রাজনৈতিক কূটকচালিকে আকর্ষণীয় মোড়কে মুড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিবেশন করতে কেউ কারও থেকে কম যাচ্ছে না।