গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি, বেতাই–পলাশী-এই দুই রাজ্য সড়কে প্রায় ৬০টি বাস চলে। এই সমস্ত বাসের বেশিরভাগই রাতে পলাশীপাড়ায় থাকে। স্ট্যান্ড না থাকায় সেই সমস্ত বাস রাতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। সেকারণে বাসকর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। এছাড়া, দুই দিক থেকে দু’টি বাস দাঁড়িয়ে গেলে রাস্তা সরু হয়ে যায়। বড় ট্রাক বা চারচাকার গাড়ি রাস্তার মাঝখান দিয়ে যেতে সমস্যা হয়। আর তা থেকেই পলাশীপাড়ার রাস্তায় যানজট দেখা দেয়।
এসব সমস্যা মেটাতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। বাম আমল থেকে বাসস্ট্যান্ডের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন পলাশীপাড়াবাসী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা তৈরি হল না। মানিক ভট্টাচার্য পলাশীপাড়ার বিধায়ক হওয়ায় পর এই উদ্যোগ অনেকখানি এগিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর ইডি হেফাজত ও জেলে যাওয়ার পর বাসস্ট্যান্ডের কাজ বিশবাঁও জলে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, মানিকবাবু বিধায়ক হওয়ার পর জমি চিহ্নিত করে মাপজোক পর্যন্ত হয়েছিল। তখন সবাই ভেবেছিলেন, এবার স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড পাবে পলাশীপাড়া। তারপর মানিক ভট্টাচার্য জেলে যাওয়ায় সেই কাজ আর এগোয়নি।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাধন বিশ্বাস বলেন, দিন হোক বা রাত, আমাদের বাস রাস্তার পাশেই রাখতে হয়। এতে যাত্রী ও পথচারীদের অসুবিধা হয়। রাতে প্রায় ৩০টি বাস এখানে থাকে। অথচ স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নেই। আমরা দাবি জানালেও কোনও এক অজানা কারণে এখনও বাসস্ট্যান্ড হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ হাইত বলেন, স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড হলে এলাকার বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাম আমলে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময় অনেকখানি কাজও এগিয়েছিল। বাসস্ট্যান্ড তৈরির বিষয়ে ফের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এবিষয়ে তৃণমূলের তেহট্ট-২ ব্লক সভাপতি দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, আমরা বিষয়টি পরিবহণ দপ্তরে জানিয়েছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে একটা ভালো খবর পাব।