নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
কেন বাংলা নিজের মেয়েকে চায় তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন। দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির পর ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ প্রচারে ভালো সাড়া মিলছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। শাসকদলের নেতা-কর্মীরা একের পর এক নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়ে বিধানসভা এলাকার দাপিয়ে বেড়ালেও বিরোধীদের সেভাবে চোখে পড়ছে না।
ভগবানগোলা ও লালগোলা দু’টি বিধানসভাই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী। ভগবানগোলা-১, ২ ব্লক নিয়ে ভগবানগোলা বিধানসভা গঠিত হয়েছে। ১৯৫৭সালে প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী এই আসনে জয়ী হন। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে বাম, কংগ্রেস ও সমাজবাদী দলের পাশাপাশি ১৯৭১ সালে নির্দল প্রার্থীও এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। তৃণমূলের ভগবানগোলা-২ ব্লক সভাপতি আব্দুল রউফ বলেন, ২০১৬সালে জোটের প্রার্থী সিপিএমের মহসিন আলির কাছে আমাদের পরাজয় হয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে ভগবানগোলার প্রতিটি প্রান্তে দলের সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। গত কয়েক বছরে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলে রাস্তা, আলো, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রতিটি সামাজিক প্রকল্পগুলি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে। এখন ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগান সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীরা।
দশ বছরের উন্নয়ন ও কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকা থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তৃণমূলের ভগবানগোলা-১ ব্লক সভাপতি আফরোজ সরকার বলেন, ভোটের প্রচার অনেকটাই সেরে ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকার প্রতিটি পরিবারের কাছে আমরা পৌঁছতে পারছি। তৃণমূল পরিচালিত লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির মিঞা বলেন, কংগ্রেস প্রথম থেকে ক্ষমতায় থাকলেও লালগোলার জন্য কিছু করেনি।
রাস্তা, আলো, পানীয় জল সহ বিভিন্ন সমস্যায় জেরবার ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু গত কয়েক বছরে রাস্তাঘাট, আলো এবং পানীয় জলের সমস্যা মিটেছে। প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে লালগোলার মানুষ যথার্থই বাংলার মেয়েকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন।
জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, যাঁরা ওই স্লোগান তুলছেন তাঁদের কাছে জানতে চাই বিরোধীরা কী বাইরের লোক। আসলে বাংলার মানুষ দিদিকে চাইছেন না। ভোটে আবার তা প্রমাণিত হবে।