নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছোটখাট চিকিৎসার জন্য ঘাটাল মহকুমার মানুষকে বাইরে ছুটতে হতো। এখন ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রচুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। তাই জরুরি ও জটিল রোগের চিকিৎসা এখানেই হচ্ছে। মেয়েরা বাড়ির সামনেই নার্সিং ও পলিটেকনিক কলেজে পড়তে পারছে। এই সব উন্নয়নকে সামনে রেখেই আমরা আবার মানুষের আশীর্বাদ পাব।
স্থানীয় উন্নয়নের সঙ্গে তৃণমূল যোগ করছে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, পথশ্রী, সবুজসাথীর মতো রাজ্যের নানা প্রকল্প। এই উন্নয়নের পরিসংখ্যানের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছে বিরোধীরা, এমনই দাবি দলীয় কর্মীদের। ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা অনিমেষ সাঁতরা বলেন, ভোট যতই এগিয়ে আসছে বিজেপি এবং সিপিএম যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে, তা আমাদের মতো সাধারণ ভোটাররাও বুঝতে পারছেন। ওদের প্রচারে কোনও ইস্যু নেই। প্রতি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের অপপ্রচার করে রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ প্রত্যেকটি ভোটারই রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কোনও না কোনও সুবিধা পেয়েছেন।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, শুধু উন্নয়ন নয়, সংগঠনের দিক থেকেও তাঁরা বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। কারণ, বিধানসভার প্রত্যেকটি বুথে তাঁদের মজবুত সংগঠন বয়েছে। তাই বুথের কর্মী বৈঠকেও ভিড় উপচে পড়ছে। শঙ্করবাবু বলেন, এখানে বিরোধীদের কোনও সংগঠন নেই। বিজেপি নেতাদের ভাবমূর্তি দেখে মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। আর ঘাটাল বিধানসভায় সিপিএম তো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির ঘাটাল দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শীতল কপাটের অভিযোগ, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগীরা যদি সঠিক পরিষেবাই পেতেন, তাহলে ওই হাসপাতালের পাঁচশো মিটারের মধ্যে রমরমিয়ে ৩০-৩৫টি নার্সিংহোম চলত না। আর উন্নয়ন যা হয়েছে তার থেকে দুর্নীতি বেশি হয়েছে। মানুষ তৃণমূলকে আর সহ্য করতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমাদের সভা-মিছিলে তো লোকই হতো না। তাহলে ওই ভোটে ঘাটাল বিধানসভার ব্যবধান কমে পাঁচ হাজার ৮৬৬তে নেমেছে কেন? এখন মানুষ ভয়ে ওদের মিছিলে যাচ্ছেন। কিন্তু ভোটটা আমাদেরই দেবেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রে যা হচ্ছে, তার ফলে সাধারণ মানুষ তৃণমূল বা বিজেপি, কাউকেই চাইছেন না। ভোটাররা যে ক্রমশ বামমুখী হচ্ছেন, সেটা আগামী ২ মে ফল প্রকাশ হলেই সবাই দেখতে পাবেন।