নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ফ্লেক্সে লেখা হয়েছে, ‘জামালপুরবাসীরা ডিটেনশন ক্যাম্পের বাসিন্দা নন। তাই বলছি এখনও সময় আছে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে তৃণমূল নেতারা সাবধান হোন। এবারও যদি বহিরাগত কাউকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয় তবে পরিনাম ভয়ঙ্কর হবে। ভোটের দিন সাপ-লুডু খেলে দেবে জামালপুরের জনগণ।’
গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিক হেরে যান। তিনি বাইরের লোক বলে ক্ষোভ ছিল তৃণমূলের অন্দরে। সেই ক্ষোভ থেকেই এবার প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে এই পোস্টার, আর তা ঘিরেই রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে। জামালপুর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, কে বা কারা এই কাজ করেছে আমার জানা নেই। বিরোধীরা করতে পারে আবার সাধারণ মানুষও করে থাকতে পারেন। তবে সব কেন্দ্রেই আমাদের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাকে জামালপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করবেন, তার জন্যই আমরা সকল কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। এখন কে, কী পোস্টার দিয়ে ভূমিপুত্র চাইছে এটা আমার জানা নেই। তবে দলের তরফ থেকে কর্মীদের বলেছি কারা এই কাজ করেছে সে বিষয়ে খবরাখবর নিতে। পূর্ব বর্ধমান জেলা (সদর) বিজেপির সাংগঠনিক সহ-সভাপতি সুনীল গুপ্ত বলেন, তৃণমূলে এইসব ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। মানুষ বুঝতে পেরেছে তৃণমূলের সরকার আর আসবে না। তাই এখন দলের এক শ্রেণীর কর্মীরা এইরকম ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচার করছে।
রাজ্যের তৃণমূল মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, এটা দলের মধ্যে কেউ করেছে সেটা মানতে পারছি না। যারা এটা করেছে তারা কিছুতেই তৃণমূলের কেউ হতে পারে না। যিনি প্রার্থী হবেন তিনি তো আর মঙ্গল গ্রহ থেকে আসবেন না। এই বাংলারই কেউ না কেউ হবেন। আমাদের স্লোগান, আমরা বাংলার মেয়েকেই চাই। ২৯৪টি কেন্দ্রেই আমাদের প্রার্থী মমতা।