নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এদিনের সভায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আদিত্যনাথের পাশাপাশি বিজেপিকেও শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন্দ্রে আট বছর ক্ষমতায় আছেন। আর বাংলায় আমাদের সরকার ক্ষমতায় আছে ১০বছর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি বসতে রাজি আছেন। আপনি আপনার আট বছরে কী কাজ করেছেন তার খতিয়ান নিয়ে কবে আসতে চান বলুন? মানুষ আপনার কাছে জবাব চাইছে। আপনি মানুষকে জবাব দিন। পাশাপাশি এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও আক্রমণ করেন। বলেন, যোগী বাংলায় এসে বলছে দেখে নেবে। কী দেখে নেবে? ওনার রাজ্যে একের পর এক মানুষকে খুন করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে তাঁর রাজ্যে এক তরুণীকে ১৪জন মিলে ধর্ষণ করেছে। ওই তরুণীর বাবা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে গুলি করে খুন করেছে। আগে নিজের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সামলান। তারপর বড় বড় কথা বলবেন। খয়রাশোল ব্লকের দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে এদিন সহানুভূতিশীল ছিলেন তিনি। এই সমস্যা আপাতত কিছুটা মিটলেও সম্পূর্ণ মেটানো সম্ভব হয়নি এমনই ইঙ্গিত দেন অনুব্রতবাবু। খয়রাশোলের মঞ্চ থেকেই উপস্থিত জনগণকে সমস্যাটি মেটানোর আশ্বাসও দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, এই এলাকায় জলের একটু সমস্যা আছে। আমি কথা দিচ্ছি, যখনই ডাকবেন তখন আসব। খয়রাশোলকে সাজিয়ে তুলব।
এদিনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, আমরা ভালো চালাতে জানি। যে ব্যাটটা দিয়ে বলটা মারব সেটা বাউন্ডারির বাইরে গিয়েই পড়বে। আর বলটা ছাতু হয়ে যাবে। শেষ দফায় ভোটার প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এদিন তিনি আরও বলেন, খয়রাশোলে ১৭১টা বুথ আছে। প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে অথবা বুথ পিছু চারটে করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলেও আমরাই জিতব। দলবদলুদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমা জগতে অমিতাভ বচ্চন যেমন শেষ কথা তেমনই রাজনীতির জগতে মমতা। বটগাছের নীচে যেমন অন্য কোনও গাছ জন্মায় না, তেমনই দল থেকে চলে গেলে দলের কিছু যায় আসে না। এই দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বটগাছ।
এদিনের সভায় মহিলা সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত খয়রাশোল ব্লক এলাকায় সভা ঘিরে ‘খেলা হবে’ গানের তালে তালে নাচে মেতে উঠলেন মহিলারা। তাঁদের উৎসাহ দেখে মঞ্চে উপস্থিত শিল্পীদের আরও কিছু গান পরিবেশন করতে অনুরোধ করেন অনুব্রতবাবু।