নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
দুয়ারে সরকার যেমন মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা দ্রুত মিটিয়েছে, তেমনই পাড়ায় সমাধান সমষ্টির সমস্যা মেটাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে গ্রামীণ এলাকায় জেলা পরিষদের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হলেও পরে শহরেও এই পরিষেবা শুরু হয়। এতেই অভূতপূর্ব সাফল্য পেল আসানসোল পুরসভা। মানুষ নিজেদের এলাকার সমস্যা জানাতেই, তা দ্রুত নথিভুক্ত করে সমাধানে সচেষ্ট হয় পুরসভা। পাড়ায় সমাধানকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি স্কিমগুলি সরাসরি টেন্ডার করা হয়েছে। পাঁচ লক্ষের বেশি স্কিমগুলিকে ই-টেন্ডার করা হয়েছে। আসানসোল পুরসভায় পাঁচ লক্ষের মধ্যে ২১০টি স্কিমে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৩কোটি ৭৪লক্ষ ৫১হাজার ৭০। এছাড়া বড় ৪৫টি স্কিমের জন্য ৫কোটি ৭৬লক্ষ ৩৮হাজার ৮৮ টাকা। রাজ্যের পুরসভাগুলির সামগ্রিক রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে, ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে আসানসোল।
মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের সব পুরসভা ও কর্পোরেশন মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকার কমের মোট ৫৬৯টি স্কিম নেওয়া হয়েছে। মোট স্কিমের এক তৃতীয়াংশের বেশি শুধু আসানসোল পুরসভাই করেছে। ৫ লক্ষের বেশি মোট ৪৭৪টি স্কিম নেওয়া হয়েছে। পাড়ায় সমাধানে পুরসভাগুলির জন্য মোট অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ১১৬ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮২হাজার ৭৪৯। দুটি স্তরেই স্কিমের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আসানসোল পুরসভা।
পুরসভার কমিশনার নীতিন সিংহানিয়া বলেন, পাড়ায় সমাধানে আমরাই রাজ্যের সবচেয়ে বেশি স্কিম করেছি। চেষ্টা করা হয়েছে যাতে দ্রুত মানুষের সমস্যার সমাধান করা যায়।
এই সাফল্যকেই হাতিয়ার করে এলাকায় প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। পাড়ায় সমাধানে সদ্য হওয়া রাস্তা বা আলোর সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন ভাবনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে মানুষ তা দেখছেনও। দীর্ঘদিনের সমস্যা মেটায় অনেকে খুশি। পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব মানুষের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছি। রেকর্ড সংখ্যক কাজ হয়েছে কয়েক মাসে। বিজেপি কী করেছে তা জানাক। বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায় বলেন, আগে কাজ করেনি বলেই পাড়ায় সমাধানে কাজ করতে হচ্ছে। মানুষ তৃণমূলের ভাঁওতাবাজি ধরে নিয়েছে। ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।