নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
যদিও সপ্তাহখানেক ধরেই জেলার অনেক নেতাই নিজেদের গোষ্ঠীর লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটমুখী হয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম যাতে থাকে, তার অন্তিম চেষ্টার কসুর করতে ছাড়েননি অনেকেই। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। একুশের নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণকেই প্রচারের হাতিয়ার করছে। তাই তৃণমূলের ক্ষেত্রে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিদায়ী বিধায়করা নিজেদের এলাকায় ভালো কাজের সুবাদে ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকায় নাম তুলে নিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। তৃণমূলের তরফ থেকে ১২ জনের নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের মতো নেতারা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নেত্রী চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছেন নামের তালিকায়। প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক মাসের পর মাস ধরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীর খোঁজ চালিয়েছে জেলাজুড়ে। তারা শাসক দলের একাধিক নেতা সম্পর্কে প্রতিটি কেন্দ্র ধরে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। তাদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা কেমন, সেটাও জানার চেষ্টা করেছে। জেলায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। এক গোষ্ঠীর নেতাদের কাছে গিয়ে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দলের নেতাদের।
বিধানসভায় টিকিট প্রত্যাশী এক তৃণমূল নেতা বলেন, বিরোধীরা আমাদের ব্যাপারে যত না গালমন্দ করবে, নিজেদের দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক তার থেকে বেশি বাজে কথা বলবে। পিকের টিমের কাছে সব রিপোর্টই আছে। জানি না দলনেত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে। তবে যাঁরা সত্যিই মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং দলের সবাইকে নিয়ে চলতে পেরেছেন, তাঁরাই অগ্রাধিকার পাবেন।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে আমি মনে করি এই জেলার ১৬টি আসনেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি কাকে কোথায় প্রার্থী করবেন, সেটা সম্পূর্ণ ওঁর ব্যাপার। আমাদের নেত্রী জেলার প্রত্যেকটি বিধানসভার খোঁজখবর রাখেন। কে কী কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতেই তিনি নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন। যাঁকেই প্রার্থী করা হোক, সর্বত্র একসঙ্গে ঝাঁপাবে জেলা নেতৃত্ব।