কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার মোহরকুঞ্জ পার্কের সভাকক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক অলোক দাস সহ অন্যরা। রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার পাশাপাশি রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বাহিন, গৌরী, মাড়াইকুড়া এবং কমলাবাড়ি -১ ও -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত। এই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। কমলাবাড়ি -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখলে। এদিনের বৈঠকে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, ছয় অঞ্চল সভাপতি সহ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জয়ী এবং পরাজিত মোট ১৩১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৬ জন বুথ সভাপতি ছিলেন বৈঠকে।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে, এই পাঁচটি অঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে যেতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে ভালো করে বোঝাতে হবে। উন্নয়নের নিরিখেই যাতে এই ভোট হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কর্মীদের।
রায়গঞ্জ -১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনিমেষ দেবনাথ বলেন, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং অলোক দাসের নেতৃত্বে এদিন একটি বৈঠক হয় মোহরকুঞ্জে। সাংগঠনিক এই বৈঠক থেকে আরও বেশি করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দেয় রাজ্য নেতৃত্ব।
এই কেন্দ্রের গ্রামাঞ্চলে বুথের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ১২৬ টির মধ্যে বাহিন অঞ্চলে ৩২ টি, গৌরী এবং মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭ টি করে ,কমলাবাড়ি -১ এবং -২ নম্বর অঞ্চলে ২৪ ও ১৬ টি বুথ আছে। ভোটার সংখ্যাও শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে বেশি। গ্রামাঞ্চলে ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৬৩ জন। এর মধ্যে বাহিনে ৩২ হাজার ২০৮, গৌরীতে ২৫ হাজার ৮৫৯, মাড়াইকুড়াতে ২৮ হাজার ৭৭৫, কমলাবাড়ি -১ নম্বর অঞ্চলে ২৫ হাজার ৫৭ জন এবং কমলাবাড়ি -২ নম্বর অঞ্চলে ১৫ হাজার ৪৬৪ জন ভোটার আছেন। রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭ টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৩৭ জন।