কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিন মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার আলিপুরদুয়ার শহরের ফুটপাত থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ফুটপাত থেকে দোকান সরিয়ে নিতে প্রশাসন এদিন মাইকিংও করে। মহকুমা শাসকের নির্দেশে এদিন অস্থায়ী দোকানদার অনেকে ফুটপাত থেকে দোকানপাট সরিয়েও নেন। মহকুমা শাসক বলেন, রাস্তা বা ফুটপাত থেকে দোকান সরিয়ে দিতে আজ, বুধবার থেকে বুলডোজার নিয়ে অভিযান শুরু হবে। প্রশাসনের এই কড়া মনোভাবে তটস্থ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ, জেলা শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোডের কলেজ হল্ট, মাধব মোড়, মহাকাল ধাম ও নিউটাউন এলাকা সর্বত্রই ব্যবসায়ীদের পসরায় ফুটপাত ঢেকে গিয়েছে। ফুটপাত না থাকায় পথচারীদের ব্যস্ত রাস্তা দিয়েই হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা চৌপথিরও। ফুটপাত দখল করেই দিব্যি ব্যবসা চলছে ওই এলাকায়। চৌপথি থেকে কোচবিহার-ফালাকাটা যাওয়ার রাস্তায় মাড়োয়ারিপট্টি, বাটামোড়, বড়বাজার ও দুর্গাবাড়ি এলাকায় কোথাও ফুটপাত আর চোখেই পড়ে না। শামুকতলা রোড শহরের আর একটি ব্যস্ততম রাস্তা। পথচারীদের হাঁটা তো দূরের কথা, এই রাস্তায় টোটো-অটোর বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে ফুটপাত চোখেই পড়ে না। পুরসভার রবীন্দ্র শিশুউদ্যান ঢোকার মুখে শহরের পার্ক রোডেরও একই হাল। এই রাস্তার দু’পাশে বহু খাবারের দোকান। পথচারীরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই পারেন না।
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আমাদের সংগঠনের কোনও সদস্য ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন না। আমরাও চাই ফুটপাত দখলমুক্ত হোক। শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাতুল বিশ্বাস বলেন, আশা করছি এবার ফুটপাত জবরদখলমুক্ত হবে।
পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ দে’কে ফোনে পাওয়া যায়নি। শোনা যাচ্ছে পুর চেয়ারম্যান এখন কলকাতা থেকে ফেরেননি। ভাইস চেয়ারপার্সন মাম্পি অধিকারীর ফোন বেজে গেলেও তিনি ধরেননি।