সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
রুবেল মোহাম্মদ বলেন, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ থেকে আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছি। এটা অঞ্চলের টাকা। শেয়ার কেটে এই টাকা নেওয়া হয়েছে। সভানেত্রী পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিল সেখান থেকে। আমি বলেছি দৌড়াদৌড়ি করতে আমার বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। সে কারণে ৪৫০ টাকা কেটে তাকে বাকি টাকা দিয়েছি। কেন ৪৫০ টাকা কাটা হল, তাই নিয়ে বচসা বাধে। শনিবার সকালে যখন মেয়েকে নিয়ে বাজার আসছিলাম, সেই সময় ফরমান মোহাম্মদ সহ বেশ কয়েকজন আমাদের পথ আটকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয়। গাড়িতে বসে থাকা আমার শিশুকন্যাকে তুলে আছাড় মারে। আমার মেয়ের পায়ে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। মাথায় আঘাত লেগেছে। আমাকেও মারধর করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি চিকিৎসা করতে। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। হাসপাতালে চিকিৎসক মেয়ের মাথার সিটিস্ক্যান করতে বলেছে।
সভানেত্রী মামনি বেগম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রুবেল মোহাম্মদ ৫০ হাজার টাকা তুলেছে, এটা ঠিক। সেখান থেকে আমি পাঁচ হাজার টাকা সভানেত্রী হিসাবে লোনের জন্য তার কাছে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে। এদিন টাকা চাইতে গেলে আমার স্বামী ও ভাসুরকে তাদের পরিবারের লোকজন মারধর করেছে। আমি দৌড়ে গিয়ে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা। আমার স্বামী বা কেউ তাদের বাচ্চাকে মারধর করেনি। হয়তো সেই বাচ্চা কোনভাবে পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। আমি তাদের শাস্তি চাই।
আঘাতপ্রাপ্ত শিশুকন্যার মা অঞ্জুমা বেগম বলেন, একজন শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে বাইক থেকে তুলে ছুড়ে দিয়ে আছাড় মারা হয়েছে। মাম্পি বেগম সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। সামান্য টাকার জন্য আমার মেয়ে ও স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্ত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।