সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
শনিবার ভোরে ব্রহ্মপুর এলাকার বাসিন্দা বীরেন্দ্রনাথ রায় তার বাড়ি সংলগ্ন জমিতে গোরু বাঁধতে গিয়ে এক শিয়ালের মৃতদেহ দেখতে পান। শিয়ালের শরীরে খাবলানোর চিহ্ন লক্ষ্য করেন তিনি। তার পাশেই বেশকিছু অজানা জন্তুর পায়ের ছাপও দেখতে পান তিনি। তারপরই খবর দেওয়া হয় এলাকার বাসিন্দাদের। নিমিষের মধ্যে সেই খবর চাউর হয়ে যায় সমগ্র এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে এলাকার বাসিন্দারা খবর দেয় ময়নাগুড়ি থানায়। খবর দেওয়া হয় রামসাই বনদপ্তরেও। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হয় রামসাই বনদপ্তরের রেঞ্জার সুকদেব রায়। যে পায়ের ছাপ এই এলাকায় দেখা গিয়েছে, তা চিতা বাঘের পায়ের ছাপ বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানিয়েছেন সুখদেববাবু। অপরদিকে মৃত শিয়ালটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শিয়ালের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক রায় বলেন, আমাদের এলাকায় এক চা বাগানের পাশের ধানের ক্ষেতে শিয়ালের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার পাশেই বেশ কিছু পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। আমাদের প্রাথমিক অনুমান সেটি চিতা বাঘের পায়ের ছাপ। কারণ এত বড় পায়ের ছাপ এদিকে অন্য কোন জন্তুর হতে পারে না। এদিন বনকর্মীরা এসেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পাশাপাশি তারা পটকা পাঠিয়েছে। আমাদের একটাই দাবি, বনকর্মীরা এখানে নিয়মিত টহলদারি চালাক। কারণ চিতা বাঘের আতঙ্কে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি। রাতে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করে দিয়েছেন। আমাদের হাতে পটকা দিয়েছেন তারা। এদিন অনেকেই জমিতে চাষ করতে যায়নি। স্কুলে যায়নি পড়ুয়ারাও। এভাবে কতদিন চলবে বুঝে উঠতে পারছি না।
রেঞ্জার শুকদেব রায় বলেন, পায়ের ছাপ দেখে চিতা বাঘের পায়ের ছাপ বলে মনে হচ্ছে। শিয়ালের মৃত্যু কী কারণে হলো তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে আমরা ওই এলাকায় খোঁজখবর রাখছি। এলাকার বাসিন্দাদের সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি আমরা। এদিন বিভিন্ন জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েছি। তবে চিতা বাঘের দেখা পাওয়া যায়নি। এলাকায় চা বাগান থাকায় চিতাবাঘ আসতে পারে অনেক সময়। গ্রামবাসীদের যেমন সজাগ থাকতে বলা হয়েছে, আমরাও তেমন সজাগ রয়েছি।