সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ অবশ্য বলেন, দলের রাজ্য কমিটি ব্লক সভাপতিদের নাম ঠিক করেছে। তা মেনে নিয়েই চলতে হবে। এনিয়ে আপত্তির কিছু নেই। দলেও এনিয়ে কোথাও বিতর্ক নেই।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ই ফাঁসিদেওয়া ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। সংশ্লিষ্ট ব্লকে মহকুমা পরিষদের ৮ নম্বর আসনে দলীয় প্রার্থী আইনুল হকের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে লড়াই করেন দলের যুবনেতা আখতার। তিনি যুব সংগঠনের ফাঁসিদেওয়া-১ ব্লকের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় আখতারকে দল বহিষ্কার করে। তিনি ভোটে পরাজিতও হন। এবার তাঁকেই দলের ফাঁসিদেওয়া-১ ব্লক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সেই পদ থেকে আইনুল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই আখতারকে দলে ফেরানোর খবর চাউর হয়। তখনই সেখানে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একাংশ। এবার কোন্দল আরও চরমে উঠবে বলেই আশঙ্কা। সদ্য অপসারিত তথা মহকুমা পরিষদের সদস্য আইনুল হক বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে দলকে হারানোর চেষ্টার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতাকে ব্লক সভাপতি করে আমাকে ছোট করা হল। এরমধ্য দিয়ে ভোটারদের অপমানিত করা হল। কলকাতা নয়, এর পেছনে দলের কিছু জেলা নেতা রয়েছেন। এতে দলের কতটা মঙ্গল হবে, তা বুঝতে পারছি না।
দলীয় সূত্রের খবর, দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্নে আখতারকে এখনই দলে নেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য কমিটির কাছে আপত্তি করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী। কিন্তু সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে আখতারের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তাতে মুগ্ধ দলের রাজ্য কমিটি। লোকসভা ভোটের ময়দানে তাঁকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই আখতারকে দলের ব্লক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। আখতার অবশ্য বলেন, দল আমার উপর ভরসা করায় আমি কৃতজ্ঞ। দলের জেলা ও রাজ্য নেতাদের নির্দেশ মতো মান-অভিমান ভুলে সকলকে নিয়ে দল পরিচালনা করব। ব্লকের বয়স্ক নেতা-নেত্রীদের পরামর্শও নেব।
শুধু ফাঁসিদেওয়া-১ নয়, দলের আরও পাঁচটি ব্লক কমিটির সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি টাউন-১ নম্বর কমিটিতে সভাপতির পদ থেকে প্রদীপ গোয়েল এবং টাউন-২ নম্বর কমিটির সভাপতির পদ থেকে জয়ন্ত করকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে টাউন-১ কমিটিতে রামভজন মাহাত এবং টাউন-২ নম্বর কমিটিতে মানিক দেকে সভাপতি করা হয়েছে। টাউন-৩ নম্বর কমিটিতে সভাপতি হিসেবে পুনরায় মনোনীত হয়েছেন দুলাল দত্ত। সংশ্লিষ্ট তিন জনই পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য। নকশালবাড়ি-১ ব্লক কমিটিতে আনন্দ ঘোষের জায়গায় মনোজ চক্রবর্তী, মাটিগাড়া-২ ব্লক কমিটিতে খগেশ্বর রায়ের জায়গায় প্রফুল্ল বর্মন, খড়িবাড়িতে হিরণময় রায়ের জায়গায় মুকুল সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে। ফাঁসিদেওয়া-২ ব্লকে পুনরায় সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কাজল ঘোষ।
একই সঙ্গে দলের যুব ও মহিলা সংগঠনের ব্লক কমিটির সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। যুব সংগঠনের আটটি ব্লক কমিটিতে পুরনোরা দায়িত্বে থাকলেও ফাঁসিদেওয়া-১ ও নকশালবাড়ি-২ব্লকে সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। এবারই প্রথম শ্রমিক সংগঠনের ১০টি ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছে।