সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই দুপুরে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের নাজিরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিকারপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় কাকা মমিনুল সরকারের সঙ্গে ভাইপো বাপ্পা হোসেনের। জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ ছিল। ঘটনার দিন সকাল থেকে তাদের মধ্যে ফের জমিতে চাষ করা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। দুপুরে জমি চাষ করতে গেলে ভাইপো বাপ্পা দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে কাকা মমিনুলকে জমি চাষে বাধা দেয়। এরপরই রীতিমতো কোমর থেকে রিভালভার বের করে মাথায় ঠেকিয়ে গুলি চালালে জমিতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় কাকার। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দলবল নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
মৃতের ছেলে মমিনুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিবাদ ছিল। ঘটনার দিন বাবাকে জমিতে নামতে দিচ্ছিল না বাপ্পা। হুমকি দিয়েছিল জমিতে নামলে খুন করবে। বাবা জমিতে গেলে দলবল নিয়ে এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ডাকতে দেয়নি। আমার দিকেও বন্দুক উঁচিয়ে আসতে থাকলে আমি সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচি। শুনেছি পুলিস তাকে ধরেছে। আমার চোখের সামনে বাবাকে মাথায় গুলি করে মেরে ফেলেছে বাপ্পা। আমি ওর ফাঁসি চাই। জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, নাজিরহাটে জমি বিবাদের জেরে গুলি করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।