উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদা বলেন, ডেঙ্গু রোধে পঞ্চায়েতের অধীনে যাবতীয় কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই তিন থেকে চারবার পঞ্চায়েতজুড়ে ফগিং করা হয়েছে। ভিলেজ রিসোর্স পার্সনরা (ভিআরপি) সেই কাজ করছেন।
এবিষয়ে মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ডেঙ্গু রোধে স্বাস্থ্য দপ্তর সক্রিয় রয়েছে। করোনার মধ্যেও কাজ চলছে। করোনা নিয়ে যেভাবে মানুষ সচেতন, সেভাবে ডেঙ্গু রোধেও মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনও খোলা পাত্রে জল জমতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি মশারি ব্যবহার করতে হবে। শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে। তবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, গত বছরের থেকে এবছর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ কম রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের অভিযান থেমে নেই। ফগিংয়ের ফলে মশা নিধনে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এজন্য আমরা আপাতত স্প্রেতে জোর দিচ্ছি। নিয়মিত মশানাশক তেল ব্যবহার করা হচ্ছে।
পতঙ্গবিদরাও একই কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু রোধে মশা নিয়ন্ত্রণে ফগিং খুব একটা কার্যকরী নয়। কারণ ফগিং করলে সাময়িকভাবে মশা পালিয়ে যায়। পরে আবার ফেরত চলে আসে। মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষকেই আরও সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়িঘরের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মালদহ জেলায় ৬০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সংখ্যাটা ডিসেম্বরের মধ্যে আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিকভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন না। পাশাপাশি পঞ্চায়েতও পুরসভা থেকে মশা মারতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তাই এনিয়ে বাড়তি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু রোধে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যাপক বৃষ্টিতে মাছ ভেসে চলে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে করোনার আশঙ্কা বাড়ে। আবার ডিসেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে ডেঙ্গুর মশাও। যদি জেলায় একসঙ্গে দু’টিরই প্রকোপ বাড়ে, তাহলে সমস্যা বড়বে। সেজন্য ডেঙ্গু রোধে স্বাস্থ্য দপ্তরের ধারাবাহিক কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক অভিযান আরও বাড়ানো দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।