উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কথিত রয়েছে, এখন যেটি বালুরঘাট শহরের বড়বাজার সংলগ্ন এলাকা, অতীতে তার নাম ছিল ফটিকগঞ্জ। সেখানে আগে সপ্তাহে একদিন ফটিকগঞ্জের হাট বসত। অধুনা বালুরঘাট হাইস্কুলের কাছে একটি হাসপাতাল ছিল। তার কিছুটা দূরেই সেই হাসপাতালের মর্গ ছিল। যা লোকমুখে মরাকাটা ঘর বা লাশকাটা ঘর বলে প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়।
লাশকাটা ঘরটিও নতুন জেলা হাসপাতালের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিত্যক্ত মর্গ এবং মৃতদেহ বহনকারী গাড়ি থেকেই ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাটের দিনগুলি ছাড়া সাধারণ মানুষ সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারত না বলে জানা গিয়েছে। মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে কালীপুজোর সূচনা করে নাম দেওয়া হয় মোটরকালী।
সেই মূর্তি নিয়েও রয়েছে নানা কাহিনী। কথিত আছে, কষ্টিপাথরের সেই কালীর মূর্তিটি কুমারগঞ্জ ব্লকের বরাহার জমিদারি বাড়ির। বহু বছর আগে সেই বাড়ি থেকে মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই মূর্তিটি পাওয়া যায় মর্গের পাশেই, আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখান থেকে পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় মূর্তিটি উদ্ধার করে পুজো শুরু হয়। তারপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক দূর হয়ে যায়।
মায়ের পুজোর আগে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে ঘাটপুজো দিতে হয়। কথিত আছে, যেখানে ঘাটপুজো করা হয়, সেখানকার জল নাকি কখনও শুকোয় না। অথচ খরার সময় তারই পাশের এলাকার জল শুকিয়ে ডাঙা বেরিয়ে যায়।
বালুরঘাট মোটর কালীমাতা পুজো কমিটির সম্পাদক মানস চৌধুরী বলেন, এবছর করোনা বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হবে। মন্দির চত্বরে কেউ যাতে ভিড় না জমায়, সেজন্য বাঁশ বেঁধে দেওয়া হবে। এছাড়াও একদিনই ভক্তদের ভোগ দিয়ে দেওয়া হবে।
মন্দিরের পুরোহিত সন্তু ঘটক বলেন, প্রবীণদের কাছে শুনেছি, এই পুজো বহু বছরের পুরনো। আমি প্রায় ২০ বছর ধরে একই রীতিনীতি মেনে তান্ত্রিক মতে মায়ের পুজো করে আসছি।
ইতিবাসবিদ সমিত ঘোষ বলেন, মানুষের মধ্যে থেকে ভয় কাটাতে যে পুজো শুরু হয়েছিল, তা আজ জেলার অন্যতম বিখ্যাত পুজো।