উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভা ঘোষণা হয়েছে প্রায় দু’দশক আগে। কিন্তু এতদিনেও আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ ফেলার জন্য নির্দিষ্ট একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের যেমন এজন্য সমস্যা পোহাতে হয়, তেমনি পুর কর্তৃপক্ষকেও শহরের বাইরে বর্জ্য ফেলতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমস্যায় পড়তে হয়। সাফাই কর্মীরা বর্জ্য গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে তিস্তা ক্যানালের পাশের রাস্তার ধারে কোনও ফাঁকা জায়গা দেখে ফেলে দেন। খোলা জায়গায় বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে সেখানে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। কুকুর-বেড়াল, কাক সহ অন্যান্য পশু-পাখি বর্জ্য মুখে করে জনবহুল এলাকায় নিয়ে গিয়ে ফেলে। মাছবাজারের মাছের আঁশ সহ অন্যান্য নোংরা, দেহাবশেষ ও শৌচাগারের বর্জ্য থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণের কাজ চলছে। দ্রুতরার সঙ্গে কাজ চলছে। মাঝে বর্ষাকালের জন্য কিছু দিন কাজ আটকেছিল। শীঘ্রই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যার সমাধান হবে। ২০২১ সালের শুরুতেই সেটি চালু হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানানোর জন্য কয়েক বছর আগে গুঞ্জরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিয়ালতোড় এলাকায় দুই একর জমি নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ওই জায়গাটি পতিত অবস্থাতেই পড়েছিল। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি জন্য রাজ্যের কাছে দুই কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠান হয়। প্রায় এক বছর আগে রাজ্য থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ফান্ড পায় ইসলামপুর পুরসভা। এখন কাজ চলছে।
তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে ঢিমে গতিতে কাজের জন্য পুরসভার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরই একটা অংশ। ইসলামপুর শহরের নেতা গঙ্গেশ দে সরকার বলেন, ইসলামপুরের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকে। এত দিনেও পুর কর্তৃপক্ষ একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারল না! এটা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
স্থানীয়রা বলছেন, কেবল ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলেই হবে না। সমস্যা আরও আছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। তাই যেখানে সেখানে রাস্তার পাশেই আবর্জনা ফেলা হয়। যে ওয়ার্ডগুলিতে ডাস্টবিন রয়েছে, সেগুলিতেও জমা বর্জ্য নিয়মিত পরিস্কার হয় না বলে অভিযোগ। এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য শহরের বাসিন্দারা বারবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশাপাশি সুষ্ঠু আবর্জনা সাফাই ব্যবস্থার জন্যও দাবি তুলেছেন। ডাম্পিং গ্রাউন্ডটি চালু হলে সেখানে সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পও চালু করতে পারবে প্রশাসন। জৈব সারের প্রচুর চাহিদা আছে। বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করে ও বিক্রি করে পুর কর্তৃপক্ষ আয়ও করতে পারবে।