উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পঞ্চায়েতমন্ত্রী অবশ্য বলেন, বিদায়ী সদস্যদের রেখে মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রশাসক বোর্ড গঠনের কোনও বিধান পঞ্চায়েত আইনে নেই। প্রশাসনের আধিকারিকদেরই বোর্ডের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রশাসনের আধিকারিকদেরও বক্তব্য একই। তাঁরা জানান, পঞ্চায়েত আইন অনুসারে মেয়াদ উত্তীর্ণ বোর্ডের দায়িত্ব প্রশাসনের আধিকারিক ছাড়া অন্য কাউকে দেওয়ার নিয়ম নেই। কাজেই এখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের দায়িত্বে বিডিও, এসডিও পদমর্যাদার অফিসারদের বসানো হতে পারে। মহকুমা পরিষদের ক্ষেত্রে জেলাশাসক পদমর্যাদার অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালন বোর্ডের মেয়দা উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ২২টির মধ্যে ২০টি পঞ্চায়েতের বর্তমান পরিচালন বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। এদিন মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া, এই চারটি পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালন বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সাতদিনের মাথায় শেষ হবে মহকুমা পরিষদের বর্তমান পরিচালন বোর্ডের মেয়াদ। অথচ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পরিচালন বোর্ড পরিচালনা নিয়ে এখনও টনক নড়েনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের। ফলে মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা নিয়ে ঘোর সঙ্কটের মেঘ তৈরি হয়েছে।
মহকুমায় পঞ্চায়েত সমিতির অভিজ্ঞ সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সিপিএমের বাদল সরকার। তিনি খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। তাই আগে জানানোর পরও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালন বোর্ডে প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়নি। তাদের উদাসীনতার জেরেই সেগুলি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে গ্রামীণ এলাকায় সঙ্কট তৈরি হবে। মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের গৌরী দে অবশ্য বলেন, সরকারের নজরে সবটাই আছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, অবিলম্বে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের দু’টি স্তরে প্রশাসক নিয়োগ না হলে গ্রামীণ পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, রেসিডেন্সিয়াল, ইনকাম ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, কন্যাশ্রীর ফর্মে এবং শ্রমিকদের ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের পাসবইতে স্বাক্ষর করানো প্রভৃতি প্রয়োজনে গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যান। বর্তমানে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি কার্যত অচল। প্রধান ও সভাপতিরা চেয়ারে বসতে পারবেন না।