উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন গোবরাছড়া-নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের তিতুমীর। গ্রামটি দিনহাটা-২ ব্লকের অধীনে। আদ্যোপান্ত মমতা বন্দ্যোপাধায়ের ‘ভক্ত’ তিতুমীরকে সবাই ওই নামে চিনলেও, ওঁর প্রকৃত নাম তাঁর মীর আল্লামা কবির। গত প্রায় ১০ বছর ধরে নিজের লেখা গানে নিজেই সুর দিয়ে গেয়ে বেড়ান। সেই সব গানে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, গতিধারা, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, লোকপ্রসার ভাতা, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর গানে জায়গা করে নিয়েছে এনআরসি, সিএএ’র বিরোধিতা। এমনকী করোনা মহামারী নিয়েও মানুষকে সচেতন করতে তিনি বেশ কয়েকটি গান লিখেছেন। সেই গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও চলছে।
রাজ্যে তৃণমূল সরকারে আসার আগে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধেও গান বেঁধেছিলেন তিতুমীর। সেসময়ও তাঁর গানে উঠে এসেছিল সাই বাড়ির হত্যাকাণ্ড থেকে মরিচঝাঁপি, এমনকী কোচবিহারের শিবপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। নিজেই দোতরা বাজিয়ে এ গ্রাম থেকে সে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গাইছেন তিনি। তাঁর উদ্দেশ্য, বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে থাকা সীমান্ত গ্রামের মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরা। কীভাবে সেই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে, কীভাবে, কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হবে সেসবও তাঁর গানে থাকছে।
কৃষিকাজের পাশাপাশি নয়ারহাট বাজারে তাঁর কংক্রিটের সামগ্রীর ছোট একটি দোকান আছে। সেই দোকানই তাঁর জীবিকা মেটায়। আর গান? বললেন, মানুষের জন্য। তাতে মনের শান্তি পাই।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খতিয়ান তুলে ধরে গাওয়া গান যাতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়, সেজন্য তিনি বছর দেড়েক আগে ইউটিউবে একটি চ্যানেল বানিয়েছেন। নাম দিয়েছেন ‘দিনহাটা টিএমসি’। নিজের মোবাইলে নিজের গান রেকর্ড করে পোস্ট করেন সেখানে। ইতিমধ্যেই তাঁর অনেক গান ভাইরাল হয়েছে।
গোবরাছড়া-নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মিলন সেন, শিবু বর্মন, মাহুবর মিঁয়া বলেন, তিতুমীর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে গান বেঁধে সেই গান নিজেই গেয়ে গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। তাঁর এমন কাজে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার কথা লোকজন জানতে পারছেন।
লোকসঙ্গীত শিল্পী মীর আল্লামা কবির ছোটবেলা থেকেই গান করেন। বললেন, এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা, উন্নয়নের কাণ্ডারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে একবার নিজের লেখা গান গেয়ে শোনানো। তবে কে তাঁর এই আবেদন পৌঁছে দেবে নবান্নে, তা অবশ্য তিনি নিজেই জানেন না। নিজস্ব চিত্র