উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
তপনের জামালপুরে ৫ জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে এমনই সব প্রশ্ন ঘুরছে এলাকাজুড়ে। রহস্য বাড়াচ্ছে গৃহকর্তার হাতে লেখা কয়েকটি নাম। সেই নামগুলি কাদের, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিস। পুলিস অবশ্য প্রাথমিক তদন্তের পর বাকিদের খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্বই খাড়া করেছে। কিন্তু পুলিসের সেই দাবি মানতে রাজি নন অনুবাবুর পরিজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। তাঁর দিদি সহ অন্যান্য আত্মীয়ও খুনের অভিযোগ তুলেছেন। দাবি করা হয়েছে, অনু বর্মনকে নাকি একাধিকবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। কিন্তু কে বা কারা হুমকি দিত? কেন দিত? সেব্যাপারে কিছু বলেননি কখনও। পরিবারের আত্মীয়দের সন্দেহ, কেউ পরিবারের বাকিদের কুপিয়ে খুন করে এবং অনুবাবুর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। রবিবার বিকেলে পরিবারের তরফ থেকে এ ব্যাপারে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তপন থানায়।
মৃতের দিদি ললিতা বর্মন সরকার বলেন, ভাই কখনও স্ত্রী, মা, মেয়েদের খুন করে আত্মঘাতী হতে পারে না। ওদের খুন করা হয়েছে। ভাই আমাকে আগেই বলেছিল, যদি মারা যাই তাহলে হাতে সেজন্য দায়ীদের নাম লিখে যাব। কেউ ওদের হুমকি দিচ্ছিল। তবে কী কারণে হুমকি, তা ও কখনও বলেনি। ভাইয়ের হাতে নাম লেখা রয়েছে। আমাদের অনুমান, ওই নামের ব্যক্তিরাই আমার ভাই, মা, বৌদি ও ভাইঝিদের খুন করেছে। পুলিস তদন্ত করে ওদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিক।
পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, মৃত অনু বর্মনের হাতে কিছু লেখা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও মৃতদের দেহে আরও কিছু লেখা বা চিহ্ন রয়েছে। কাদের নাম লেখা রয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরে বোঝা যাবে। ওই খুনের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মৃত পরিবারের বিগত কয়েক দিনের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
অনু বর্মনদের বাড়িটি একতলা। এদিন ওই পাকা বাড়িতে ঢুকতেই দেখা গেল, বারান্দায় ঝুলছে গৃহকর্তার দেহ। বাড়িতে তিনটি ঘর। তিনটি ঘরেই পড়ে ছিল কারও না কারও মৃতদেহ। একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় অনুর মায়ের দেহ, আরেকটি ঘরে অনুর স্ত্রীর দেহ ও পাশের একটি ঘরে অনুর দুই মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। সকলের মাথায় জখমের চিহ্ণ। এদিকে অনু বর্মনের বাড়ির আশেপাশে প্রায় ১০০-২০০ মিটারের মধ্যে কোনও বাড়িঘর নেই। তাই শনিবার গভীর রাতে যখন সেই হত্যালীলা চলছিল, তখন যদি বাড়ির লোকজন চিৎকার করেও থাকেন, তবে তা কানে যায়নি প্রতিবেশীদের।
এদিন সকালে খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষ ভিড় জমান। পুলিস যখন একটার পর একটা দেহ বের করে নিয়ে আসছিল, তখন রীতিমতো শিউরে উঠছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গ্রামবাসী, সকলেরই দাবি, অনু বর্মনদের মতো পরিবারের কোনও শত্রু থাকতেই পারে না। তবে কীভাবে কেনই বা এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে গ্রাম জুড়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র