উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থানার রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর এলাকায়। গত অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ওই এলাকার এক চাষি খুন হন। মৃতের নাম মহম্মদ হোসেন (৫০)। মৃতের পরিবারের দাবি, কৃষিজমি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের মাঝেই জমিতে গোরু বাঁধতে গিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। তারপর কথা কাটাকাটি গিয়ে পৌঁছয় হাতাহাতিতে। শেষ পর্যন্ত হোসেনকে মাথায় বাঁশ, লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তখনই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। একমাস পার হলেও পুলিস তাদের ধরতে পারেনি।
এই অভিযোগে রবিবার দুপুরে রামপুরের বাসিন্দা ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা রায়গঞ্জ থানা ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। এদিনের বিক্ষোভে বিশেষ করে চোখে পড়েছে মহিলাদের উপস্থিতি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, মৃত ব্যক্তির পরিবার ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছে অভিযুক্তরা। সেই মামলার তদন্তেই বেশি সক্রিয় রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
এদিকে যখন সংঘর্ষ চলছিল, তখন হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন দানিশ আলি নামে আরও এক ব্যক্তি। হোসেনকে খুনে মূল অভিযুক্ত প্রতিবেশী লাল মহম্মদ ও মহম্মদ ইরশাদ এবং তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করাই মূল দাবি। পুলিস বলছে, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।
রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা বলেন, খুনের অভিযোগে যে সব ব্যক্তির নাম ছিল তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিস ওই এলাকায় বারবার টহল দিচ্ছে। অবশ্যই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ইতিমধ্যে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিন মহিলাদের নেতৃত্বে উত্তর রামপুরের বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ থানায়। আচমকা কাউকে কিছু বুঝতে দেওয়ার আগেই রায়গঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে ঢুকে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষমেষ রায়গঞ্জ থানার আইসি মৃতের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রোশনারা খাতুন বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি আমার জামাই। ঘটনার পর একমাস হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি রায়গঞ্জ থানার পুলিস। উপরন্তু তাদের দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামবাসী এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করছে পুলিস।
আরও এক বিক্ষোভকারী আব্দুল সামাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘটনার পর থেকে আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করেছে বলে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে অভিযুক্তরা। একারণেই আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি। আইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারপর আমরা থানা থেকে চলে গিয়েছি। কিন্তু পুলিস তাদের কাজ না করলে ফের বিক্ষোভ হবে।