উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অনু বর্মন (৩৩), উলুবালা বর্মন (৬০), মল্লিকা বর্মন (২৬), বিউটি বর্মন (১০) ও স্নিগ্ধা বর্মন (৬)। পরিবারের কর্তা অনু বর্মন পেশায় কৃষক। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছিল তাঁর পরিবার। চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুর এলাকায় এদিন সকালে এই খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায়। হঠাৎ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে যেমন ধোঁয়াশায় পুলিস, তেমনই অন্ধকারে প্রতিবেশীরাও। যদিও, মৃত অনু বর্মনের আত্মীয় পরিজনদের দাবি, পাঁচজনকেই খুন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস। এবিষয়ে জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, এদিন সকালে অনু বর্মনের বাড়িতে এসেছিল তাঁর ভাইপো। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পায়নি। এরপর সে পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। তখন সে কাকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। পরে পাড়া-প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়। গ্রামের কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাকিদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। মহিলা ও শিশুদের মাথায় কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এসপি আরও বলেন, আমাদের প্রাথমিক অনুমান, অনু বর্মন অসুস্থতার জন্য মানসিক অবসাদের ভুগছিলেন। সেই থেকেই হয়তো পরিবারের সকলকে খুন করে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় ও পুলিস সূত্রের খবর, এখন মাঠে ধান কাটার কাজ চলছে। শ্রমিকদের নিয়ে ওই বাড়িতে শনিবার রাতেও খাওয়া দাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তখন প্রতিবেশীরা ঘুণাক্ষরেও কিছু সন্দেহ করেননি। পরের দিনই এমন ঘটনা ঘটায় রহস্য দানা বেঁধেছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনু বর্মন দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য মাঝেমধ্যেই বেঙ্গালুরু যাওয়া আসা করতেন। চিকিৎসার খরচের জন্য তাঁকে নাকি জমিও বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, অসুস্থতা ও ঋণের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই বাড়ির সকলকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
এদিন দুপুরে প্রথমে ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার মহম্মদ নাসিব। গোটা বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখেন। পরে জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত সহ বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এছাড়া পরে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে একটি দা উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃত অনু বর্মনের আত্মীয় নিত্যনন্দন বর্মন বলেন, ওদের পরিবারে কোনওরকম অশান্তি ছিল ন। অনু খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিল। সে অসুস্থতায় ভুগছিল ঠিকই, কিন্তু সে এই ধরনের কাজ করতে পারে না। নিশ্চয়ই বাইরে থেকে কেউ এসে ঘরে ঢুকে খুন করে গিয়েছে। গ্রামবাসী গৌতম বর্মন বলেন, আমাদের মনে হয়, অন্য কেউ ওই পরিবারের সকলকে কুপিয়ে ও ফাঁস লাগিয়ে খুন করেছে। পুলিস তদন্ত করে দেখুক। নিজস্ব চিত্র