উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা জেলায় বুথ ও মণ্ডল কমিটি পুনর্গঠন করেছি। ইতিমধ্যেই জেলায় বুথ কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে। এখন মণ্ডল কমিটিগুলি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। আশা করছি, নভেম্বর মাসের মধ্যেই মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে পারব।
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও সাংগঠনিকভাবে গেরুয়া শিবির এখানে কোনওদিনই শক্তিশালী ছিল না। লোকসভা ভোটে জয় আসতেই তারা এবার বিধানসভা নির্বাচন ও জেলার পুরসভাগুলিতে ভালো ফল করতে ঘর গোছাচ্ছে। সেজন্য যে সংগঠন সাজাতে হবে সেটা বিজেপি উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নিচুতলা পর্যন্ত সংগঠন চাঙ্গা রয়েছে। লোকসভায় ভরাডুবি হলেও জনসংযোগ যাত্রা, দিদিকে বলো’র মতো কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল তাদের সংগঠনকে আগের জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, এই কাজে তারা কিছুটা সফলও হয়েছে। এমন অবস্থায় ২০২১’র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তাদের সংগঠনকে মজবুত করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবার ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূকে পরাজিত করে। লোকসভা ভোটে জিতলে এখানে তাদের সাংগঠনিক শক্তি তেমন মজবুত নয়, এটা দলীয় নেতৃত্বের একাংশ মেনেও নিয়েছে। নির্বাচনে প্রবল মোদি হাওয়া ও শাসক দলের প্রতি ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছিল ইভিএমে। বহুদিন থেকে তৃণমূল জেলায় তিল তিল করে তাদের সংগঠনকে নিচুতলা থেকে সাজিয়ে তুলেছিল। কিন্তু বিজেপি সেই কাজ তেমন শক্তপোক্তভাবে করে উঠতে পারেনি। এবার বিজেপি সেই কাজ করতেই ঝাঁপিয়েছে। বিজেপি বুঝতে পেরেছে, নিচুতলার সংগঠনকে মজবুত করতে না পারলে বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বেগ পেতে হবে। সেই কারণেই দীর্ঘদিন পর বুথ ও মণ্ডল কমিটিকে পুনর্গঠনের করে তারা আগামী দিনের নির্বাচনগুলির জন্য সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত হতে চাইছে।
এরআগে বিজেপি জেলায় তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালিয়েছে। তাদের দাবি, এতে খুব ভালো সাড়া মিলেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির রাজ্য স্তরের কয়েকজন নেতা ধারাবাহিকভাবে জেলায় এসে সংগঠনের কাজ খতিয়ে দেখছেন। লোকসভা ভোটে উত্থানের পর তাদের পক্ষে ঘর গোছানোর কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে। এদিকে লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়া তৃণমূল তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে জনসংযোগ যাত্রা, দিদিকে বলো কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে জেলায় নামার পর থেকে তারাও তাদের হারানো মনোবল ফিরে পেতে শুরু করেছে। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলও চাইবে জেলায় তাদের পুরনো জমি পুনরুদ্ধার করতে। সেই কাজেও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। একাংশ রাজনৈতিক নেতার মতে, বিজেপি আঁচ পেয়েছে লোকসভা ভোটে জয় আর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া এক কাজ হবে না। সেই কারণেই তারা তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে। যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে তৃণমূল স্তরে শাসক দলের সঙ্গে তারা টেক্কা দিতে পারে। পাশাপাশি জেলার পুরসভা এলাকাগুলিতেও তারা তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ চালাচ্ছে।