দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
রাজনীতির হিসেবে কেন্দ্রে সরকার কে গড়বে, তা অনেকটাই নির্ধারিত হয় উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটের ফলাফলের উপর। সেকারণে গেরুয়া ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে ভরাডুবি হয়েছে। ৮০টি আসনের মধ্যে জয় এসেছে মাত্র ৩৩টিতে। রামমন্দিরের ধাত্রীভূমিতে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি জোট। ৩৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। ফলপ্রকাশের এক মাসের মধ্যেই, ভরাডুবির পর্যালোচনায় বসেছিল আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ২৬ জুন থেকে লখনউতে চারদিনের সেই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্রাত্তেয় হোসাবলে। সেখানেই ভোট বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে বেকারত্বকে তুলে ধরা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষও বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে বলে বিশ্লেষণ আরএসএসের। তাদের মতে, এরই প্রভাব দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। জুন মাসের মাঝামাঝি টানা পাঁচদিন যোগী আদিত্যনাথের খাসতালুক গোরক্ষপুরে ঘাঁটি গেড়ে ভোট বিপর্যয়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। তারপরেই বসেছিল এই পর্যালোচনা বৈঠক। সংগঠন সূত্রে খবর, সেখানেই দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের কাছে টানতে বিশেষ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপি সরকারের খামতি ঢাকতে কর্মসংস্থান তৈরিতেও নতুন ভূমিকায় নামছে আরএসএস। এই লক্ষ্যে দেশের প্রথম সারির সংস্থা ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সঙ্ঘনেতারা। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে। সেইসঙ্গে, ‘স্বদেশী’ সামগ্রীর প্রচার-প্রসার বাড়াতেও তত্পর হচ্ছে তারা।
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য গত এক মাসে একাধিকবার মোদির নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছে আরএসএস। প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্য, শ্রীরামচন্দ্রকে সামনে রেখে রাজনীতির সমালোচনাতেও সরব হয়েছেন সঙ্ঘ নেতারা। এবার বেকারত্ব নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ আরও বাড়ল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।