কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
তাপসবাবু নিজে যেমন এই ফোনালাপের রেকর্ডিং বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটকে পৌঁছে দিয়েছেন, তেমনই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকও। তাঁর অভিযোগ, ‘ওই অডিও আমিও শুনেছি। পরাজিত হয়েও গুন্ডারাজ, খুনের রাজনীতি কায়েম রাখতে চাইছেন অর্জুন। পুলিসের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ ‘সুপারি’ দেওয়ার এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। উল্টে তাঁর অভিযোগ, ‘তাপস ভকতের সঙ্গে সুবোধের নিবিড় যোগাযোগ আছে। তাপস ওর লিঙ্কম্যান। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মোবাইল নম্বর সুবোধের কাছে পৌঁছে দিত। আর পার্থ ভৌমিক? ভাঁড়ের মতো কথা বলছেন। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। পুলিস-প্রশাসন কী করছে? তদন্ত করে দেখুক।’
তবে গোটা বিষয়টিকে বারাকপুর কমিশনারেট খুব একটা ‘সহজ চোখে’ দেখছে না। কারণ ওই ফোনালোপে অর্জুন সিং সুপারি দিয়েছে বলার পাশাপাশি যেভাবে তাপস ভকতকে তার ‘শেল্টারে’ আসার জন্য সুবোধ সিং চাপ দিয়েছে, তাতে সেটিকে ‘কৌশল’ বলেই মনে করছে পুলিস। ফোনালাপে সুবোধ সিং বলছে, ‘তোমাকে কেন মারতে বলছে? সবাই সেটিং করো নিচ্ছে। তুমি আমার কথা শোনো, আমার সঙ্গে থাকো। অর্জুন সিংকে আমি বলব, তাপস আমার লোক, সেটাই তোমার সিকিউরিটির কাজ করবে।’ এর আগে সুবোধ সিংয়ের ‘খুনের হুমকি’ পেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাপসবাবু। তাঁকে দু’জন সশস্ত্র দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছে। ফোনালাপের শুরুতে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সুবোধ সিংকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিনন্দন তাপস! শুনলাম, তোমার এখন দু’জন বডিগার্ড! তবে দেহরক্ষী রেখে কোনও লাভ হবে না, সেটা তুমি জানো। মারার হলে এমনিই গুলি করে মারব।’ ফোন-পর্বে সুবোধ সিংকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘মণ্ডলকে এখন কেউ ছুঁয়ে দেখাক।’ তাপস ভকত জানতে চান, ‘ভাই, উনি কি আরমান মণ্ডল?’ সহাস্যে সুবোধ বলে, ‘না, অজয় মণ্ডল।’ বেলঘরিয়া শ্যুটআউটের পর অজয় মণ্ডল যে এখন তার লোক, সেটাই তাপসকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার।