কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
অষ্টাদশ লোকসভার স্পিকার হিসেবে ওম বিড়লাকে নির্বাচন করার জন্য এদিন মোট ১৪ জন প্রস্তাব পেশ করেন। সমর্থন করেন আরও ১৪ জন। একেবারে প্রথমে প্রস্তাব রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর একে একে এনডিএ শরিকরা। অন্যদিকে, ‘ইন্ডিয়া’ র প্রার্থী আটবারের সাংসদ কে সুরেশকে স্পিকার নির্বাচন করার পক্ষে প্রস্তাব রাখেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনার এমপি অরবিন্দ সাওয়ান্ত। তারপর সমাজবাদী পার্টির এক এমপি এবং শারদ পাওয়ারের কন্যা এনসিপি (শারদগোষ্ঠী)-র সুপ্রিয়া সুলে। আরও তিনজন সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। কে সুরেশ কংগ্রেসের এমপি। যদিও এদিন দলের তরফে কোনও এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হয়ে প্রস্তাব পেশ করেননি। এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্রে ব্যাখ্যা, সুরেশ গোটা ইন্ডিয়ার প্রার্থী, কংগ্রেসের নয়।
উভয় পক্ষের নাম-প্রস্তাব ও সমর্থনের পর স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। তিনি সরাসরি ওম বিড়লার নামে ধ্বনি ভোট করান। বিরোধীদের ‘নো’ (না) চিৎকার সভাকক্ষে প্রতিধ্বনিত হলেও তা গ্রাহ্য করেননি মহতাব। তিনি বলেন, সরকার পক্ষের ‘আইস’ (অর্থাৎ ইয়েস) শব্দই উচ্চগ্রামে শোনা গিয়েছে। তাই স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা। বিরোধীরা তৎক্ষণাৎ ভোটাভুটির দাবি জানায়। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত মানতেও বাধ্য হন সাংসদরা। এরপর ‘প্রোটোকল’ মেনে স্পিকারকে আসনে বসান প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তার আগে পরস্পর করমর্দন করেন দু’জনে। সেই দৃশ্য দেখে গোটা লোকসভায় উঠল ‘ওউ...’ আওয়াজ। সঙ্গে তীব্র টেবিল চাপড়ানি। স্পিকারের আসনে বসে প্রত্যেকের কাছ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করেন ওম বিড়লা। তবে সমালোচনা সহ্য করেননি। যে দলগুলির একজন করে এমপি, তাদের অভিনন্দন বার্তা পড়ার সুযোগও দিতে চাইছিলেন না। পরে চাপে পড়ে সম্মতি জানান। কিন্তু গত পাঁচ বছর তিনি স্পিকার থাকাকালীন যেভাবে এমপিদের সাসপেন্ড করে বিল পাশ হয়েছে, সেকথা শুনতে রাজি হননি।