অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গায় উস্কানির অভিযোগে সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিন পড়ুয়া। দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিস আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই মামলায় এই মন্তব্য করেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।(এদিন শুনানির সময় দিল্লি পুলিসের আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চান। তিনি বলেন, ওই রায় ইউএপিএ আইন তো বটেই সর্বোপরি দেশের সংবিধানের বিরোধিতা করেছে। সাক্ষীরাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময় গোলমালের কথা উল্লেখ করেছিলেন। অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল আমন লেখি বলেন, গোলমালে ১০০-এর বেশি জখম হয়েছিলেন। কিন্তু আদালত বলছে যেহেতু হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তাই কোনও অপরাধ সংগঠিত হয়নি। এমন হলে কেউ কোনও জায়গায় বোমা পুঁতে রাখল। কিন্তু বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড তা নিষ্ক্রিয় করে ফেললে অপরাধের মাত্রা কমে যাবে। তিন পড়ুয়ার হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, মামলাটি একান্তভাবেই জামিন কেন্দ্রিক। তিনিও বলেন, হাইকোর্টের রায়কে এখন উদাহরণ হিসেবে দেখার দরকার নেই। এদিকে দিল্লি পুলিসের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করার পর সর্বোচ্চ আদালত তিন পড়ুয়াকেও প্রতিক্রিয়া জানাতে নোটিস দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জুলাই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করে নাতাশারা দিল্লির হিংসায় ইন্ধন দিয়েছেন —এই অভিযোগে গত বছর মে মাসে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিস। প্রায় এক বছর পর বৃহস্পতিবার তাঁরা মুক্তি পান। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন প্রয়োগ কতটা যুক্তিসঙ্গত।