নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। মহামারী মোকাবিলার একমাত্র অস্ত্র টিকাকরণও লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। সংক্রমণ রোধে জারি হওয়া বিধিনিষেধের গেরোয় পড়ে ধুঁকছে অর্থনীতি। এই অবস্থায় জনমানসে গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কমল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবুও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন। এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও মোদির থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এমনটাই জানাল ‘মর্নিং কনসাল্ট’ নামে আমেরিকার এক ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা। সম্প্রতি তারা একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, মোদির গ্রহণযোগ্যতার সূচক অনেকটাই পড়েছে। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা সূচক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় মোদির প্রতি ভারতীয়দের আস্থা কমেছে ২০ শতাংশ। ভারতে ২ হাজার ১২৬ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে মর্নিং কনসাল্ট। সেখানে ৬৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান।
অন্যদিকে, তাঁর বিরোধিতা করেছেন মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এক বছর আগে যেখানে মোদির রেটিং ছিল ৭৫ শতাংশ, সেখানে তা কমে হয়েছে ৬৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবারই সমীক্ষার রেটিং আপডেট রয়েছে। গত বছর করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর ২-৩ মে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর রেটিং ছিল ৮৪ শতাংশ। এমনকী, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর মোদির গ্রহণযোগ্যতা সূচক ছুঁয়েছিল ৮২ শতাংশ। তবে, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের থেকে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে অনেক এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া সহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রনেতারা তাঁর থেকে পিছিয়ে রয়েছেন।