উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
শনিবার শেষ দফার ভোটগ্রহণ ছিল বিহারে। সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থার এক্সিট পোল। বিহারে মোট আসন ২৪৩। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১২২। প্রায় প্রতিটি পূর্বাভাসেই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা হয়েছে ইউপিএ জোটকে। আগামী মঙ্গলবার ভোট গণনা। এক্সিট পোলের আভাস, নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদিকে হারিয়ে বিহারের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র, ৩১ বছরের তেজস্বী যাদব। প্রমাণিত হবে, এককভাবে কেন্দ্রে শক্তিশালী হলেও রাজ্যে রাজ্যে দলের নিরঙ্কুশ জয় এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সাল থেকে একের পর এক রাজ্যে পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। এবার বিহার হাতছাড়া হওয়ার অর্থ—হিন্দি বলয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে অবশিষ্ট থাকবে শুধু উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে পূর্ব ভারত। দক্ষিণে শুধু কর্ণাটক।
একুশের এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ভোট। বিহারের এক্সিট পোলের ফলাফল সত্যি হলে বাংলা কব্জা করার রণকৌশল তৈরিতে মনোবল হারাবে বিজেপি। তবে, বুথফেরত কয়েকটি সমীক্ষায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনাও উঠে আসছে। অর্থাৎ বিহারে কোনও জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। আবার কয়েকটি পূর্বাভাস এনডিএ’র কাছে রীতিমতো বিপর্যয় ডেকে আনছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিজেপি আসন একশোরও নীচে নেমে যাবে। রাহুল গান্ধী-তেজস্বীর জোট পেতে পারে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন। সংখ্যায় অল্পবিস্তর পার্থক্য থাকলেও প্রতিটি এক্সিট পোলই সরকার গড়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রাখছে তেজস্বী যাদবকে।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের ২৮টি আসনের উপনির্বাচনে বিজেপিকে এগিয়ে রাখছে এক্সিট পোল। অন্তত ১৬টি কেন্দ্র দখল করতে পারে তারা। এই পূর্বাভাস মিলে গেলে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সরকার টিকে যাবে। কংগ্রেস পেতে পারে ১২টি আসন।
এক্সিট পোলের হিসেবে বিহারের এই বিপর্যয়ের পিছনে অন্যতম কারণ, নীতীশের দল জেডিইউয়ের ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ধস। এনডিএ জোটের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্ত আসন নীতীশের থেকে অনেক বেশি। অথচ দুই পক্ষ সমসংখ্যক আসনেই লড়াই করেছে। সুতরাং আগামীদিনে বিহারে যুযুধান হবে বিজেপি বনাম তেজস্বী। তাহলে কি অস্তমিত হবে নীতীশের রাজনৈতিক জীবন? উত্তর মিলবে মঙ্গলবার।